৪২ বছর বয়সে প্রয়াত শেফালী জড়িওয়ালা। এই অভিনেত্রী কাঁটা লাগা গানের জন্যই জনপ্রিয় ছিলেন। এবং, ৯০ দশকের তরুণদের কাছে যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তারপর অনেক বছর পর তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিগ বসে। সেখানে তাঁকে দারুণ অবতারে দেখা গিয়েছিল। সে শো থেকেই আবারও খ্যাতি ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সপ্তাহখানেক আগেই সব শেষ। হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নানা ধরনের ওষুধ এবং ট্রিটমেন্ট চলছিল তাঁর। নিজের যৌবন ধরে রাখতে নাকি তিনি নানা ধরনের ইনজেকশন এবং ওষুধ নিতেন। সেকারণেই নিম্ন রক্তচাপ থেকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পরাগ। স্বামী হলেও, এই মানুষটা সন্তানের মতো আগলে রেখেছিলেন শেফালীকে। তাঁর সঙ্গে ছিল আরেক সঙ্গী - তাঁর চারপেয়ে সন্তান সিম্বা। যাকে নিয়েই বেশিরভাগ সময়টা থাকতেন শেফু। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, যেদিন শেফালী চলে গেলেন সেদিন সিম্বাকে নিয়ে নানা কাজে বেরিয়েছিলেন পরাগ। সেই নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। কী করে একজন মানুষ, যার স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তিনি একাজ করতে পারেন? বেশ কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গে, গতকাল রাতে সিম্বা যেন তাঁর ছেলের মতোই সব দায়িত্ব পালন করল। পরাগের জীবন থেকে তাঁর পরী হারিয়ে গিয়েছে। তাই এখন একমাত্র সম্বল সিম্বা। চারপেয়ে সন্তানকে নিয়ে, তিনি এখন মানবসেবায় ব্যস্ত। মধ্যরাতে পথের ধারে যে মানুষগুলি থাকেন, তাঁদের কাছে খাবার দিতে দেখা গেল তাঁদের। এবং অনেকেই এমনটাই বলছিলেন, সেই চারপেয়ে সন্তান নাকি, অসুস্থ এবং তাঁর নাকি মানসিক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু পরাগ, গতকাল রাতে যখন সেবায় ব্যস্ত, তখন শেফালীর সেই চারপেয়ে সন্তান তাঁর সঙ্গেই চল। এবং ছেলে হিসেবে সে সমস্ত নিয়ম পালন করল বলেই জানিয়েছেন পরাগ। তিনি সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করে বলছেন...
"সিম্বা খুবই আন্তরিক এবং একজন মায়ের ছেলে হিসেবে সে সমস্ত নিয়ম পালন করেছে। এই ভিডিওটি সেই সকল অসাধারণ মানুষদের জন্য যারা আমাদের শিশু সিম্বার জন্য সত্যিই চিন্তিত ছিলেন। কারণ, কিছু হৃদয়হীন মানুষ আমাদের শিশু সিম্বার স্বাস্থ্য সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়িয়েছিল শুধুমাত্র কিছু লাইক এবং ভিউ পাওয়ার জন্য। আমি সিম্বার জন্য সত্যিই চিন্তিত সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।" যে ভিডিও তিনি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে বাচ্চা সিম্বাকে নিয়েই তিনি সেই কাজ করলেন।
মায়ের খুব কাছের ছিল সে। শেফালী নিজের জীবনে জানা ধরনের ইচ্ছে রেখেছিলেন। যেমন, সন্তানের মা হতে চেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি নিজেকে সুস্থ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেসব আজ ফিকে। তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।