New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/07/kajol1-2025-07-07-11-26-31.jpg)
কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি?
কাজল জানান যে তিনি এমন একটি বাড়িতে বড় হয়ে উঠেছেন, যেখানে চার প্রজন্মের মহিলারা - তার প্রপিতামহী, ঠাকুমা এবং মা সঙ্গে তিনি - একসঙ্গে বাস করতেন।
কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি?
Kajol-Bollywood: কাজল প্রায়শই তার মা এবং প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজার সঙ্গে তার দৃঢ় বন্ধন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। তবে, তার মাতামহী প্রপিতামহীর সাথে তার গভীর মানসিক সংযোগ সম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন না। সম্প্রতি এক আলাপচারিতায়, কাজল খোলাখুলিভাবে জানিয়েছেন যে কীভাবে তিনি একবার তার বোর্ডিং স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তার অসুস্থ প্রপিতামহীকে দেখতে।
দ্য লালানটপ- এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে , কাজল জানান যে তিনি এমন একটি বাড়িতে বড় হয়ে উঠেছেন, যেখানে চার প্রজন্মের মহিলারা - তার প্রপিতামহী, ঠাকুমা এবং মা সঙ্গে তিনি - একসঙ্গে বাস করতেন। যার কারণেই তাদের সকলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক-বন্ধন তৈরি হয়েছিল। তিনি তার শৈশবের একটি ঘটনার কথা জানান। তিনি খবর পান যে তার প্রপিতামহীর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। পাঁচগনির বোর্ডিং স্কুলে মুম্বাই থেকে পাঁচ ঘন্টা দূরে ছিলেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সেই আবেগঘন ঘটনার কথায় তাঁকে বলতে শোনা গেল, "আমি জানতে পারি যে আমার দিদার মা খুব অসুস্থ। আমি আমার মাকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু আমার পরীক্ষা থাকায় তিনি আমাকে বাড়ি ফিরতে দেননি। আমার ছুটি ডিসেম্বরে ছিল, তাই তিনি আমাকে ডিসেম্বরেই আসতে বলেছিলেন। তখন আমার বয়স ছিল ১১ বছর। আমার আরেক বন্ধুও অসন্তুষ্ট ছিল, এবং আমরা দুজনেই বোর্ডিং স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা দুজনেই বোম্বে যাব এমনটাই প্ল্যান ছিল। আমি আমার স্থানীয় অভিভাবক, পাঁচগনিতে আমার মামা-র কাছে গেলাম এবং তাকে বললাম যে মা আমাকে বাড়িতে ডেকেছেন। আমাকে বাস স্ট্যান্ডে নিয়ে গেল ওরা। আমি যখন বাসে অপেক্ষা করছিলাম, তখন স্কুলের সন্ন্যাসিনীরা এসে আমার কান ধরে টেনে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে গেল।"
কাজল জানান যে এত মানুষের মধ্যে বসবাস তাকে জীবনের মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছে এবং সমাজকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে। তার ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে, তিনি সর্বদা বাচ্চাদের বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি শুধু তার মেয়ে নিসাকেই বোর্ডিং স্কুলে পাঠাননি, বরং তার ১৪ বছর বয়সী ছেলে যুগকেও বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, "আমি বোর্ডিং স্কুল পছন্দ করি, আর আমি নিসাকেও একটা বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। এখন, আমি আমার ছেলে যুগকেও বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে চাই। সেখানে বাচ্চারা তাদের বাবা-মায়ের মূল্য শেখে। এটি তোমাকে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শেখায়।"