Shefali Jariwala Anti Ageing Treatment: সালটা ছিল ২০০২। 'কাঁটা লাগা' গানটি রিমিক্স করেছিলেন ডিজে ডল। সেই মিউজিক ভিডিওতে প্রথম দেখা যায় শেফালি জারিওয়ালাকে। সেই সময় তাঁর অভিব্যক্তি, বুকের ট্যাটু প্রদর্শন নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। কিন্তু, রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেফালি। এরপর রূপোলি দুনিয়ার অন্তরালে চলে যান কাঁটা লাগা গার্ল। অবশেষে ২৭ জুন রথযাত্রার দিনই সব শেষ! সেই দিন রাতে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন শেফালি। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্নায়ুজনিত রোগে ভুগছিলেন। যার জন্য নিয়মিত বেশ কিছু ওষুধ সেবন করতেন। সামনে এসেছে আরও একটি সম্ভাব্য কারন। যৌবন ধরে রাখতে মুড়ি মুড়কির মত ওষুধ সেবনও হতে পারে শেফালির অকাল মৃত্যুর কারন।
অভিনেত্রীর দীর্ঘদিনের চিকিৎসক অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসঙ্গে ABP News-কে জানিয়েছেন, শেফালির গুরুতর কোনও অসুখ ছিল না। হৃদরোগের জন্যও কোনও ওষুধ সেবন করতেন না। তিনি শুধুমাত্র যৌবন ধরে রাখার চিকিৎসা করতেন। বিগত পাঁচ-ছয় বছর একটানা এই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন শেফালি জারিওয়ালা। NDTV-এর রিপোর্ট মোতাবেক, একটানা পঁচ-ছয় বছর নিয়মিত ওষুধ সেবনের জন্যই হয়ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল প্রয়াণ হল অভিনেত্রীর।
সূত্রের খবর, শেফালি দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখার ওষুধ সেবন করতেন। ২৭ জুন বাড়িতে পুজো ছিল। সেই জন্য উপোস করেছিলেন শেফালি। সেইদিনই দুপুরে অ্যান্টি এজিং ইনজকশন নেন। প্রায় একবছর আগে চিকিৎসক তাঁকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখনও প্রতি মাসে তা মেনে চলচেন শেফালি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ওষুধ সেবনই মৃত্যুর কারন।
আরও পড়ুন স্নায়বিক রোগে ভুগছিলেন শেফালি? অতিরিক্ত ওষুধ সেবনই কাড়ল প্রাণ! কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?
কী জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্নায়ুজনিত রোগে ভুগছিলেন। যার জন্য নিয়মিত বেশ কিছু ওষুধ সেবন করতেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শেফালি জারিওয়ালার। তবে এখনও টক্সিকোলজি এবং হিস্টোপ্যাথোলজির রিপোর্টর জন্য অপেক্ষা করছে। রক্ত ও আন্তরয়ন্ত্র (viscera)-এর নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সেগুলি কালিনা ফরেন্সিক ল্যাব্রোরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বাড়ির পরিচারিকা, প্রতিবেশিদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অধিকারীক নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। বাকি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশের অন্য এক অফিসারের বক্তব্য, 'প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে আমরা এখনি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি, যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য রিপোর্ট হতে পাচ্ছি।