Actress Postmortem Report: স্নায়বিক রোগে ভুগছিলেন শেফালি? অতিরিক্ত ওষুধ সেবনই কাড়ল প্রাণ! কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?

Shefali Jariwala Postmortem Report: সালটা ছিল ২০০২। 'কাঁটা লাগা' গানটি রিমিক্স করেছিলেন ডিজে ডল। সেই মিউজিক ভিডিওতে প্রথম দেখা যায় শেফালি জারিওয়ালাকে। সেই সময় তাঁর অভিব্যক্তি, বুকের ট্যাটু প্রদর্শন নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। কিন্তু, রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেফালি। এরপর রূপোলি দুনিয়ার অন্তরালে চলে যান কাঁটা লাগা গার্ল। অবশেষে ২৭ জুন রথযাত্রার দিনই সব শেষ! সেই দিন রাতে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন শেফালি। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

কুপের হাসপাতালে শেফালির দেহ কাটাছেঁড়া করা হয়। তর মাঝেই শনিবার সকালে শেফালির অন্ধেরির গোল্ডেন রেস ওয়াই আবাসনে পৌঁছায় ফরেন্সিক টিম। সেখান থেকে কুপের হাসপাতালে গিয়েছিলেন টিমের সদস্যরা যেখানে শেফালির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর অফিসিয়াল পেজে শেয়ার করা হয়েছে আবাসনের বাইরে ফরেন্সিক টিমের সেই ভিডিও। কী জানা গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে?

আরও পড়ুন প্রয়াত অভিনেত্রীর আবাসনে ফরেন্সিক টিম, মৃত্যুর আগের মুহূর্তে কী দেখেছিলেন নিরাপত্তারক্ষী?

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্নায়ুজনিত রোগে ভুগছিলেন। যার জন্য নিয়মিত বেশ কিছু ওষুধ সেবন করতেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শেফালি জারিওয়ালার। তবে এখনও টক্সিকোলজি এবং হিস্টোপ্যাথোলজির রিপোর্টর জন্য অপেক্ষা করছে। রক্ত ও আন্তরয়ন্ত্র (viscera)-এর নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সেগুলি কালিনা ফরেন্সিক ল্যাব্রোরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বাড়ির পরিচারিকা, প্রতিবেশিদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।

 পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অধিকারীক নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। বাকি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। আরেক অফিসার জানাচ্ছেন, 'ওষুধ খাওয়ার পর যখন অস্বস্তি শুরু হয় তখন ওঁর বাবা সতীশ সেখানেই ছিলেন। আমার অনেক ওষুধ পয়েছি। সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।'

 পুলিশের অন্য এক অফিসারের বক্তব্য, 'প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে আমরা এখনি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি, যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য রিপোর্ট হতে পাচ্ছি।'রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগেশ কদম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, 'পুলিশ ওদের কাজ করছে। আমরা আপাতত এটিকে ADR বা অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ রিপোর্ট হিসেবেই নথিভুক্ত করেছি।'

আরও পড়ুন 'কাঁটা লাগা'-য় পারফর্ম করেই রাতারাতি স্টার, কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন শেফালি? শুনলে চমকে যাবেন