প্রায় দুই দিন অতিক্রান্ত। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। তারকারা বহুদিন ধরে আওয়াজ তুলেছিলেন কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে। সে দলে ছিলেন অনেকে। বাঁধন থেকে মোশাররফ করিম, সাফা কবির। কিন্তু বাংলাদেশের চেনা মুখ যারা, কিংবা হাসিনা ঘনিষ্ঠ যারা তারা কোথায়?
হাসিনা ঘনিষ্ঠদের মধ্যে যাদের নাম প্রথমেই আসে, তিনি হলেন ফিরদৌস। অভিনেতা দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয় মুখ। ঢাকার দশটি আসন থেকে ফিরদৌস নির্বাচিত। তাহলে যখন প্রধানমন্ত্রী নিজের পদত্যাগ করলেন, তিনি কোথায় গেলেন? দেখা গিয়েছিল ছাত্র বিরোধী আন্দোলনে, তিনি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সংসদ হিসেবে অন্যান্য শিল্পীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন সরকারের পক্ষে থাকার জন্য। কানাঘুষা খবর, প্রধানমন্ত্রীর ত্যাগের পাশাপাশি তিনিও নাকি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
তাহলে কি সত্যিই তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন? সরকার ভেঙে পড়ার কিছু মুহূর্ত আগেও বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমে ফিরদৌস বলেছিলেন, "আমরা দেখেছি ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিল, তাঁদের দাবির পক্ষে আমরা সকলেই ছিলাম। কিন্তু কিছু মানুষ, ওদের ঢাল করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করেছে।
হাসিনা ঘনিষ্ঠদের মধ্যে আরেক নায়কের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি হলেন জায়েদ খান। মাঝেমধ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাকে নানা অনুষ্ঠানে দেখা যেত। বর্তমানে তিনি নাকি কানাডায় রয়েছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন...
"আমরা বাঙালি আমরা প্রতিবাদী জাতি। ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে অনেক কিছু। দেশের প্রতিটি স্থাপনা, প্রতিটি সুন্দর জিনিস আমাদের। আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে আহত হয়েছে। কোনভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি মর্মাহত। এদের মধ্যে অনেকেই আমার ভাই পরিবার এবং প্রিয়জন আশা করি এইসব কাটিয়ে উঠব। হানাহানি বন্ধ হবে সন্ত্রাস আগুন হামলা বন্ধ হবে। ছাত্র তাদের ক্লাসে ফিরে যাবে।"
একদিকে যখন গোটা বাংলাদেশে তারকারা এক হয়েছেন, সম্মিলিত হয়ে আওয়াজ তুলেছেন ঠিক তখনই চঞ্চল চৌধুরীর খোঁজ করছেন তার ভক্তরা। পদাতিক ছবি বাংলাদেশে আগামীতে পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি পাচ্ছে না। হাসিনা ঘনিষ্ঠ তারকাদের মধ্যে তার নাম ও অনেকেই খুঁজে পান। অভিনেতা অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে কোন বার্তাই দেননি। উল্টে তিনি এপার বাংলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "আছি একরকম, এই আর কি!"
বাংলাদেশের পরিস্থিতি যে ভালো নয়, সে কথা জানিয়েছিলেন পরিমনি নিজেই। অভিনেত্রী কথায় নিজের বাড়ির বারান্দাতেও যেতে পারছি না। এগুলো কি ঠিক হচ্ছে? বেশিরভাগরেই ঠিক তেমনটাই অবস্থা। কিন্তু আবার অন্য সুর গেয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা থেকে ফারহান আহমেদ জোভান, সাবিলা নূর এবং দেশের অধিকাংশ শিল্পীরা। হাসিনার দুঃশাসনের ইতি ঘটায় তারা বেশ সুখী এবং খুশি।