বৃহস্পতিবার সকালেই এসেছিল খারাপ খবর, প্রয়াত ঋষি কাপুর। দাদা রণধীর কাপুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে জানিয়েছিলেন সেকথা। চোখের জলে মাত্র কয়েকজন কাছের মানুষের উপস্থিতিতেই অনন্ত যাত্রায় চললেন ঋষি।
নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এসে সেলুলয়েডে দ্বিতীয় ইনিংসে চার-ছয় মারার পরিকল্পনা ছিল সকলের প্রিয় চিন্টুজির। শুরুও করেছিলেন। কিন্তু শেষ করা হল না। তেমনই স্বপ্নপূরণ হল না পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের। ঋষি কাপুরের সঙ্গে বলিউডের ডেবিউ প্রজেক্ট করার স্বাদটা অপূর্ণ থেকে গেল।
আরও পড়ুন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিকদা’! শিল্পীর কল্পনায় অজানালোকে মধ্যরাতের সেলফি
নিউইয়র্কে চিকিৎসা চলছিল ঋষি কাপুরের। পাকা কথাটা তখনই হয়ে গিয়েছিল দু-পক্ষের, মুম্বই ফিরে আসার পরও এগিয়েছিল কথা। শান্তিনিকেতন, কলকাতা ও মুম্বই মিলিয়ে শুটিং করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা।
মুম্বইয়ে কৃষ্ণা রাজে ঋষি কাপুরের সঙ্গে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা। ফোটো- শিবপ্রসাদের ফেসবুক
আরও পড়ুন, সুস্থ আছি, লকডাউনে বাড়িতেই: হাসপাতালের গুজব ওড়ালেন নাসিরউদ্দিন
ঋষি কাপুর চলে যাওয়ায়, ''শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মর্মাহত। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, আমাদের নিউ ইয়র্কের স্মৃতি...এক বছর ধরে ছবিগুলো রেখে দিয়েছিলাম নিজের কাছে। ভেবেছিলাম, যেদিন কাজটা শুরু হবে সেদিন পোস্ট করবো। মেনে নিতে পারছিনা স্যার। জাস্ট পারছিনা।''
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''ঋষিজি অনুপ্রেরণা। আমি ও নন্দিতাদি আমাদের ছবির হিন্দি রিমেকের জন্য বলেছিলাম। তখনই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই লক্ষ্য করেছি একজন অভিনেতা কীভাবে চরিত্রের জন্য বাঁচে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণেই শুট পিছিয়ে ছিলাম। সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার জন্য উৎসুক ছিলেন ঋষিজি। খুব তাড়াতাড়ি শুটিং শেষ করে ছবিটা রিলিজ করব ভেবেছিলাম। কিন্তু মহাবিশ্ব হয়তো অন্য কিছু পরিকল্পননা করেছিল। গল্প অসম্পূর্ণই থেকে গেল।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন