করোনার প্রকোপে অনেকদিন থেকেই শুটিং বন্ধ শহরে। তবে এদিন বসিরহাটের টাকি রোডের ঘোষপাড়ায় তথ্যচিত্র বানাতে এসে এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ল একটি শুটিং ইউনিটের প্রায় পনেরো জন কলাকুশলী। পরে বসিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোমবার সকালে শুটিংয়ের লোকজনকে ঘিরে কার্যত তুলকালাম বাধল বসিরহাটের গুলাইচণ্ডি গ্রামে। লকডাউন অমান্য করে তথ্যচিত্রের শুটিং করতে টালিগঞ্জ, বেহালা ও আলিপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে একটি গোটা ইউনিট পৌঁছয় গ্রামে। রবিবারই কাজ শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু ঝড় বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন, ‘বাঁশুরি’-র প্রথম ঝলক, একসঙ্গে বড়পর্দায় অনুরাগ-ঋতুপর্ণা
সোমবার সকালেই জানতে পারেন গ্রামবাসীরা। করোনা কারণে এমনিতেই হটস্পট নুসরত জাহানের সংসদীয় এলাকা বসিরহাট। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ। তার মধ্যে লকডাউন আগ্রাহ্য করে বাইরে থেকে এত মানুষ এলেন গ্রামে, সেটা জানতে পেরেই বেজায় চটেছেন সেখানকার মানুষ। রেগে গিয়ে প্রায় তাড়া করে কলাকুশলীদের।
তবে যে পুরো শুটিং টিমকে গ্রামে আশ্রয় দিয়েছিল, তিনি পলাতক। গোটা ঘটনায় হতচকিত এলাকার মানুষ। এদিকে বাংলায় করোনার থাবা অব্যাহত। করোনায় বাংলায় মৃত বেড়ে হয়েছে ১১৮। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৪ জনের শরীরে কোভিড ১৯ মিলেছে। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য়ে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্য়া ১৩৭৪। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৬৩। রাজ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন ৪৯৯ জন, স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন, লকডাউনে জুটি বাঁধলেন ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’ বিক্রম-মিথিলা
আপাতত শুটিং ইউনিটকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। কিন্তু রেড জোন থাকা সত্ত্বেও কেন তারা বাইরে থেকে এখানে এল তার কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি কলাকুশলীরা। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁদের চোদ্দো দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন