সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে কোনও মুহূর্তেই পিছপা হন না শ্রীলেখা মিত্র। তাঁকে সরব হতে দেখা যায় সবসময়। মেডিক্যাল কলেজের অনশন অতিক্রম করেছে ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময়। তাদেরই এক ছাত্রের পাঠানো লেখা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ এসেই আওয়াজ তুললেন।
মেডিক্যাল কলেজের অনশন নিয়ে উত্তাল ক্যাম্পাস এবং ছাত্রসমাজ। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রের বার্তা পড়তে পড়তেই যেন উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন শ্রীলেখা। যেখানে লেখা ছিল, "শুরুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডেট দেয় ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। পরে যখন শাসকদল দেখে যে মেডিক্যালের ইউনিয়ন ইলেকশনে কখনই তাঁদের ছাত্র সংসদ জিততে পারবেন না, তখনই তারা ইলেকশন বাতিল করে দেয়। এই অগণতান্ত্রিক আক্রমণের বিরুদ্ধেই শুরু হয় আন্দোলন। পরিকাঠামো এবং নানান সমস্যা রয়েছে, যা কোনোভাবেই ছাত্র ইউনিয়নের অভাবের কারণে মেটানো সম্ভব হচ্ছে না"।
আরও পড়ুন < ‘গুণ্ডারা ঠিক করবে আমরা কি দেখব…?’ ‘বেশরম রং’ বিতর্কে কড়া মন্তব্য পরিচালক ওনিরের >
উল্লেখ্য, শ্রীলেখাকে ছাত্রদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের সঙ্গ দিয়ে কিছু বলার। আজকের দিনেই মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার কথা শ্রীলেখার। যদিও তিনি এও বলেন, "যে হারে কথা বলতে আজ শুরু করেছেন একটা সময় তাঁর প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকছে। আমার যেকোনও সময় যা কিছু হতে পারে"। এরপরেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না তিনি।
গত দুদিন ধরে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে ব্যস্ত শহরবাসী। শাহরুখ অমিতাভ থেকে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার রথী মহারথীরা। কিং খানকে সামনে দেখে ফ্যান মোমেন্ট উপভোগ করেছেন অনেকেই। সেই বিষয়টিও নজর এরায়নি শ্রিলেখার। তবে সিনেমার এই উৎসবে হাজির ছিলেন না অনেকেই। শ্রীলেখা নিজেও রয়েছেন সেই দলে। তাই এবার তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, "শহরে ফিল্ম ফেস্টিভালে হোক, শাহরুখ অমিতাভ আসুক। যারা শিক্ষক ডাক্তার হতে চায় তারা অনশন করবে। আর আমরা? কি করব? এভাবেই চুপ করে থাকব। নিজেদের পিঠ বাঁচিয়ে শাহরুখের সঙ্গে সেলফি তুলে আপলোড করব। দারুণ হয়েছে প্রোগ্রাম, সব ধন্যবাদ ওনার জন্য"।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হোক কিংবা মেডিক্যালের ইউনিয়ন ইলেকশন, তারকাদের সবসময় বিঁধে কথা বলেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর কথায়, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের এহেন অবস্থা! কিন্তু কারওর মুখে একটাও শব্দ নেই। সবকিছুই জনগণের ওপর ছেড়েছেন তিনি। বললেন, আমার রাগ আছে। সিস্টেমের ওপরেই রাগ আছে।