বাংলার সিনেমার প্রযোজক তথা 'বন্ধু' শ্রীকান্ত মোহতার পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীলের দাবি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে। শ্রীকান্তের গ্রেফতারিতে 'ইন্ড্রাস্ট্রি'র ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলেও ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন রুদ্রনীল।
শ্রীকান্ত মোহতা একটি অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাহলে, কেন এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা কার্যত মোদী-দিদি রাজনীতির তত্ত্ব হাজির করেছেন। তাঁর মতে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক বিরোধী তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা যাতে সাহস না পান, সে জন্যই এই পদক্ষেপ। রুদ্রনীলের কথায়, টালিগঞ্জের শিল্পীরা শ্রীকান্তকে শ্রদ্ধা করেন, ভরসা করেন এবং ভালবাসেন। আর সেজন্যই শ্রীকান্ত মোহতাকে সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। রুদ্রনীল ঘোষের আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নাকচ করে দেওয়া মামলাকে যে কোনও উপায়ে টেনে এনে ভোটের আগে এমন পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের অধীনস্থ সিবিআই।
আরও পড়ুন- শ্রীকান্ত মোহতাকে হেফাজতে না চেয়ে জেলে পাঠানোর আবেদন সিবিআই-এর
ভেঙ্কটেশ কর্ণধারের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে এদিন ফেসবুকেও একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, "৯০এর দশকে যখন পান পরাগ চেবানো অবাংগালী প্রোডিউসাররা শুধুমাত্র চকচকে হিরোইন আর কালো টাকা সাদা করার জন্য সিনেমায় পয়সা ওড়াত, তখন এই ছেলেটিই সিস্টেম বদলের কথা একা ভাবত! যার ফলাফল আজকের অনেক উন্নতমানের বাংলা সিনেমা"। কিন্তু, তাহলে রুদ্রনীল ছাড়া টালিগঞ্জের অন্যন্যরা কেন শ্রীকান্তের হয়ে মুখ খুলছেন না? রুদ্রনীল মনে করছেন, মুখ খললেই সিবিআই হেনস্থা করবে ভেবে অনেকেই পছুপা হচ্ছেন। তবে, 'বন্ধু'র অসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়াতে সদা প্রস্তুত রুদ্রনীল ঘোষ। সে জন্যই এগিয়ে এসে এ বিষয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। ফেসবুক পোস্টের শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, "ভাল হোক শ্রীকান্তের,সুস্থ হোক রাজনীতি!" '১৫ বছর রাজনীতি করেছি' বলে দাবি করা এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারের ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীলের এদিনের সার্বিক প্রতিক্রিয়াকে রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন- কে এই শ্রীকান্ত মোহতা?