বডি শেমিং নিয়ে বরাবরই প্রতিবাদী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। শরীর তাঁর কাছে মন্দির-সম। আর তিনি তাঁর পূজারী। পোশাক নিয়ে শত কটাক্ষ-সমালোচনা সত্ত্বেও কোনওদিনই পাত্তা দেননি। বরং সমালাচকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যা ইচ্ছে হয়েছে, পরে গিয়েছেন। তা শাড়ি হোক বা স্কার্ট, শর্ট ড্রেস… পোশাক ক্যারি করতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার! এবার ট্রোলারদের উদ্দেশে ক্ষুরধার 'শ্রীমতি'।
রাস্তাঘাট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় মেয়েদের। কখনও শারীরিক গড়ন নিয়ে আবার কখনও বা পোশাক নিয়ে। বিষয়টা জলভাতের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কার্টের ঝুল মাপা, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ি আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরলো?… বক্ষ বিভাজিকা উঁকি দিল?… সমাজের আতস কাচ যেন তৈরিই থাকে সবসময়ে! অশালীন, কদর্য মন্তব্য উপচে পড়ে! সেসব সমালোচকদেরকেই এবার নীতিপাঠ পড়ালেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
'শ্রীমতি' স্বস্তিকার কথায়, "একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার নিজের কাছে শরীর সবসময়েই ভীষণ ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। আমার গায়ের রং কিংবা শারীরিক গড়ন নিয়ে কোনওদিনই সেভাবে চিন্তিত ছিলাম না। অসাধারণ বলেও মনে হয়নি। কেউ বলেন আমি কার্ভি-মোটা, থলথলে। এটা-ওটা…। আমার কাছে শরীরটা একটা শূন্য পাত্রের মতো, যার দরুণ যে কোনও চরিত্রেই নিজেকে অনায়াসে ফিট করিয়ে নেওয়া যায়। কখনও চরিত্রের প্রয়োজনে মোটা হয়েছি। আবার কখনও চরিত্র যেমন ডিমান্ড করছে, নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলেছি।"
<আরও পড়ুন: ‘১ মিনিট নীরবতা পালন হোক!’, সুস্মিতা-ললিতের প্রেম নিয়ে খিল্লি করে ট্রোলড শ্রীলেখা>
এখানেই অবশ্য থামেননি অভিনেত্রী। সেইসঙ্গে জীবনদর্শনের পাঠও দিয়েছেন। স্বস্তিকা বলেন, "একটা সময়ে জীবনটাকে দারুণ উপভোগ করেছি। ইচ্ছেমতো খেয়েছি। নিজের মতো থেকেছি। তবে চল্লিশ ছোঁয়ার পর মনে হল এবার স্বাস্থ্যকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এক মাস আগে যখন জিমে যোগ দিলাম, তখনও ভাবতে পারিনি যে আজকের চেহারায় আসতে পারব। মনে হয়েছিল যুগ লেগে যাবে। আমার প্রশিক্ষক-ই আমাকে প্রতিনিয়ত শরীরচর্চার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। অনেকসময় তো এরকমও হয়েছে যে আমি কেঁদে ফেলেছি। তবে হাল ছাড়িনি। জীবনে যা করেছি নিজের জন্য করেছি।"
প্রসঙ্গত সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা অভিনীত 'শ্রীমতি'। সেই ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে এমন একজন গৃহিণীর ভূমিকায় যিনি একা হাতে সংসার সামলানোর পাশাপাশি একসময়ে নিজের প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য জিমে যোগ দেন। সেখানেই গল্পের মোড় ঘোরে। তারপর? সেটা দেখতে হলে প্রেক্ষাগৃহে পা দিতেই হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন