শুভশ্রী গাঙ্গুলি তিনি, একের পর এক গোঁড়ামি ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এবারও ব্যতিক্রম না। তিনি আবারও দেখিয়ে দিলেন, শ্রদ্ধা আর ভালবাসার মাঝে কোনও কুসংস্কার কাজ করে না। যদিও, এই নিয়ে শোরগোল কম নেই।
Advertisment
দ্বিতীয়বারের মতো অন্তঃসত্বা তিনি। দীর্ঘদিনের সামাজিক বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্বা অবস্থায় পঞ্চম মাস পার করলেই আর কোনও শুভ কাজ এমনকি ঠাকুর বরণের অনুমতি নেই। কিন্তু, শুভশ্রী সবকিছু উল্টে পাল্টে দিলেন। একজন মা হিসেবে আরেক মায়ের বিদায় বেলায় সামিল হলেন। বরণ করলেন, সিঁদুর খেললেন। আর এসব দেখেই রেগে আগুন মধ্যবয়স্কদের অনেকে। বেশিরভাগ দাবি করছেন অন্তঃসত্বা অবস্থায় একাজ করা ঠিক নয়।
প্রকাশ্যেই তাঁরা শুভশ্রীর বিরোধিতা করলেন। কিন্তু, তাতে কী? আর পাঁচজন ঘরনীর মতোই এদিন, সাদা লাল পেড়ে গরদের শাড়ি, সঙ্গে শাঁখা পলা, পায়ে আলতা থেকে গয়না, কিছুই বাদ পড়েনি শুভশ্রীর সাজে। তাঁকে বরণ করতে দেখে একদল যেমন রেরে করে উঠলেন বাকি অনেকেই সাধুবাদ জানালেন। সমাজের গোঁড়ামি ভেঙে চলেছেন তিনি। এটাই তো এসময়ে হওয়া উচিত।
কেউ বললেন, আমরা চেয়েও পারিনি। তুমি যেটা করলে সেটা মাইলস্টোন। আবার কেউ বললেন, তুমি নিজেই একজন সৃষ্টির অংশ। মা হিসেবে আরেক মায়ের যাবার বেলায় সঙ্গ দিয়েছ, এটাই তো চাই। আবার কারওর কথায়, এভাবেই সব কুসংস্কারকে ভেঙে দেওয়া উচিত তাহলেই সমাজের উন্নতি হবে।
পুজোর কয়েকদিন তিনি থ্রি পিস সুট পরেই ধরা দিয়েছিলেন। তবে, দশমীর দিন তাঁকে দেখা গেল একদম ভিন্ন সাজে। শুধু তাই নয়, সাক্ষাৎ দুগ্গা ঠাকুরের মতোই লাগছিল তাঁকে। সপ্তমীর দিন তাঁর বাড়িতে বসেছিল চাঁদের হাট। তারকাদের আড্ডায় সেদিন গান গেয়েছিলেন সকলেই। প্রসঙ্গত, গোটা পুজোয় ছেলের সঙ্গে ঢাক বাজিয়েই সময় কেটেছে তাঁদের। এখন ছোট্ট সদস্যের আসার পালা। তারই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সকলে।