বিগ বস ১৩-র ফাইনালিস্টদের মধ্যে একজন সিদ্ধার্থ শুক্লা। বালিকা বধূ ও দিল সে দিল তক ধারাবাহিক তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। শুধুমাত্র টেলিভিশনের দর্শকদের মধ্যে শুক্লার জনপ্রিয়তা আটকে নেই। বিগ বসের বাড়ির প্রতিটি মহিলা সদস্যও স্বীকার করেছিলেন তারা প্রত্যেকে সিদ্ধার্থ শুক্লাকে চেনেন।
তবে শুরুটা ভালই হয়েছিল দিল সে দিল তক অভিনেতার, প্রতিটা দিন পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চরিত্রের নানা দিক সামনে আসছিল। আসিম রিয়াস, শেহনাজ গিল এবং আরতি সিং-এর সঙ্গে একটি পোক্ত দল তৈরি করেছিলেন সিদ্ধার্থ। শুক্লা ও আসিমের বন্ধুত্বও বেশ পছন্দ করেছিলেন ফ্যানেরা। জয় ভানুশালি, মাহি ভিজ ও আসিমের ভাই উমর রিয়াস মনে করতেন দু'জনে মিলে বাকিদের কঠিন প্রতিযোগিতা দেবেন।
আরও পড়ুন, এ আর রহমানের মেয়েকে ট্রোল তসলিমার, জবাব দিলেন খাতিজা
কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তাদের সম্পর্কে তিক্ততা এসে গিয়েছিল। প্রত্যেকে তাঁদের বন্ধুত্ব ঠিক করতে এগিয়েও এসেছিল তবে সিদ্ধার্থের 'আমি সব জানি, বাকি প্রত্যেকে বোকা'- এই অ্যাটিটিউড মাঝে এসে গিয়েছিল। দু'জনেই ক্রমে শত্রুতে পরিণত হন। এপিসোড যত এগোচ্ছিল তাদের ঝগড়া বাড়তে বাড়তে পরিবার পর্যন্ত চলে এসেছিল। তাদের চড়া গলা মাঝে মধ্যে দর্শকদের বিরক্তিতে উপনীত হয়।
রেশমি দেসাইয়ের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপ দেখলেই বোঝা যায় সিদ্ধার্থের মেজাজ কোথায় পৌঁছেছিল। ওর ''আমার বাড়িতে এ ধরনের মেয়ে নেই'' -এর মতো মন্তব্য রেশমিকে অগ্নিশর্মা করে তুলেছিল। ঘরের এমন কোনও সদস্য নেই যার সঙ্গে বিবাদে জড়াননি শুক্লা।
আরও পড়ুন, ‘ধর্মযুদ্ধ’-র ট্রেলার নিয়ে উৎসাহ সোশাল মিডিয়ায়
তবে ঝগড়া ছাড়াও 'সিডনাজ' বাদ দিয়ে সিদ্ধার্থের জার্নি অসম্পূর্ণ। শেহনাজ গিল ও তাঁর সম্পর্কের চড়াই-উতরাই দর্শক ভীষণ পছন্দ করেছেন। কিন্তু বারবার গিলকে 'বোকা' এবং 'খালি মাথা' তখন প্রতিবাদের স্বর উঠেছে দর্শক মহল থেকে। মেয়েদের প্রতি রূঢ় আচরণের জন্য কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। একবার আসিম রিয়াসকে সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ''আরতির কথা ছাড়, ওর মতামত ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা কারণ ও নিজের মাথা ব্যবহার করে না।''
কিছু কিছু সময় সলমন খানও তাঁকে ভৎসর্না করেছেন। কিন্তু পরের দিকে তাঁর কমেডি সত্ত্বার প্রকাশ দেখেছেন দর্শক। সলমন খানের সঞ্চালনায় তিনি বিগ বসে এসেছিলেন "ইন্ডিয়া'স মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর" হিসাবে। কতটা সেই ইমেজ বজায় রাখতে পেরেছেন সিদ্ধার্থ তার জবাব দর্শক দেবেন ১৫ ফেব্রুয়ারি ফিনালের দিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন