আচমকাই সব শেষ। কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কেউ কোনও খোঁজ পর্যন্ত রাখেনি। এমনকি, কেউ এমনটা জানতেও পারলেন না, যে এই কিংবদন্তি বলিউডের নানা বিখ্যাত ছবিতে গান গেয়েছেন। এমনকি, ভারতের নাইটেঙ্গল লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন এবং গান গেয়েছেন। সেই প্রতিভাই চলে গেল পরলোকে। চাঁদনি ছবিতে একটি গানে তাঁর গলা শোনা গিয়েছিল।
প্রয়াত ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম নক্ষত্র বাবলা মেহতা। যিনি ভয়েস অফ মুকেশ নামেই পরিচিত। আবার খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই শিল্পী নিজের কেরিয়ারে মুকেশের বেশ কিছু গান গেয়েছেন। তাঁর কন্ঠ ছিল মুকেশের মতোই। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে যেদিন এই শিল্পী মারা গিয়েছেন অর্থাৎ ২২ জুলাই, সেদিন মুকেশের জন্মদিনও। টি সিরিজের ব্যানারে বাবালা মেহতার অনেক গান প্রকাশিত হয়েছিল। শিল্পী হিসেবে অনেকে তাঁর নাম জানতেন না। কিন্তু, তাঁর গান শুনেছেন বহু মানুষ। অনেকেই হয়তো জানতেন না, এই গান সেই মানুষটার গাওয়া।
চাঁদনি ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তেরে মেরে হোঠ পে - গানটি গেয়ে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন। এছাড়াও তিনি গেয়েছিলেন, সড়ক এবং দিল হ্যায় কী মানতা হ্যায় - এই সব ছবির গানে তাঁকে গলা দিতে দেখা গিয়েছে। শুধু সিনেমার গান নয়, বরং ভক্তিমূলক গান পর্যন্ত গেয়েছেন তিনি। রামচরিত মানস আবৃত্তি করেছিলেন তিনি। দেশে বিদেশে নানা ধরনের কনসার্ট পর্যন্ত করেছিলেন। শ্রোতারা মুগ্ধ হতেন তাঁর গান শুনে।
প্রসঙ্গে, স্টুডিওর বাইরে বেরিয়ে তিনি বহু মানুষকে গান করে আনন্দ দিয়েছেন। শ্রোতারা তাঁর গলায় গান শুনে পাগল হয়ে যেতেন বলেই জানা যায়। সকলের হৃদয়ে একটা বিশেষ স্থান অধিকার করছিলেন। রাম চরিত মানস ছাড়াও, জয় শ্রী হনুমান গেয়েও তাক লাগিয়েছিলেন তিনি। তবে, আচমকাই যে চলে যাবেন একথা কেউ ভাবতেও পারেননি।