অতিমারী সংকটের পাশাপাশি এবার 'ইয়াস' বিধ্বস্ত এলাকাতেও পরিষেবা দিতে পৌঁছে গিয়েছে রূপম ইসলামের (Rupam Islam) টিম। এমন অতিমারীতে বিধ্বস্ত জনজীবন। মৃত্যু, লাশের ভীড়, আর্তনাদ…। করোনা বিপর্যস্ত মৃত্যুপুরীতে চারিদিকে শুধু বেঁচে থাকার আর্তি। তার মাঝেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির সাইক্লোন 'ইয়াস' (Yaas)। বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণীঝড়। কারও বা বাড়ির চাল উড়েছে, নোনা জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে ঘর-বাড়ি, চাষের জমির, কোথাও বা বৈদ্যুতিন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন। এমতাবস্থায় অন্নসংস্থান করাও দায় হয়ে উঠেছে তাঁদের পক্ষে। সেই সমস্ত মানুষদের পাশেই দাঁড়িয়েছে 'ফসিলস ফোর্স'। মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা।
Advertisment
এক মাস আগেই পথ চলা শুরু করেছে রূপম ইসলামের কোভিড রিলিফ টিম। কিন্তু মাত্র দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁদের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে পুরুলিয়া, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায়। লকডাউনে যে সমস্ত মানুষরা অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফসিলস যোদ্ধারা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ডেলিভারিম্যানদের জন্যও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে গায়কের টিম।
এই দুর্দিনে অনেকের বাড়িতেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ফুড ডেলিভারিম্যানরা। অতিমারীর করাল প্রকোপের মাঝেও বিরাম নেই তাঁদের। ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে তাঁদের নামতে হচ্ছে পথে। কিন্তু, সেই মানুষগুলির মধ্যেই অনেকে দিনের শেষে ক্ষুধার্ত থাকছেন। পাশাপাশি এই লকডাউন পরিস্থিতিতে এরকম অনেকেরই পরিষেবা চালু রয়েছে। তাঁরাও প্রয়োজনমতো রাস্তা থেকে প্রয়োজনীয় খাবার বা পানীয় জল কিনে খেতে পারছেন না, কারণ নির্দিষ্ট সময় ছাড়া দোকান বন্ধ। যাঁরা কিনা অতিমারীর এই চরম প্রকোপেও মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন, তাঁদের পাশেই দাঁড়িয়েছে রূপম ইসলামের টিম।