/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/11/pfYF59BClXrdcrpyteij.jpg)
মা-কে নিয়ে যা বললেন সোহা... Photograph: (ফাইল চিত্র)
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী, শর্মিলা ঠাকুর সম্প্রতি ভক্তদের চমকে দিয়েছেন, যখন তিনি প্রকাশ করেন যে মহামারির সময়, তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। দীর্ঘ সময় এই খবর গোপন রাখার পর, তাঁর মেয়ে সোহা আলি খান সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, মায়ের অসুস্থতা তাঁর কাছে ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়। বিশেষত, তিনি আগেই তাঁর বাবা মনসুর আলি খান পাতৌদি-কে হারিয়েছেন। ২০১১ সালে তাঁর বাবা মারা যান।
ইউটিউব চ্যানেল নয়নদীপ রক্ষিতের সঙ্গে এক আড্ডায়, সোহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- মায়ের অসুস্থতার সময় তিনি কি খুব বেশি চিন্তিত ছিলেন? কারণ তিনি আগে একজন অভিভাবককে হারিয়েছেন। জবাবে সোহা বলেন...
“আমার সবচেয়ে বড় ভয় কাছের মানুষের অকাল মৃত্যু ও প্রিয়জনদের হারানো। জীবনে অন্য অনেক কিছুর মোকাবিলা করা যায়, কিন্তু এই শূন্যতা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। আমি কৃতজ্ঞ যে মা'র ক্যান্সারটি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছিল। প্রতিরোধ ও দ্রুত সনাক্তকরণই তাঁকে রক্ষা করেছে- সত্যিই এটি এক অলৌকিক ঘটনা।” এর আগের এক সাক্ষাৎকারে সোহা আরও জানান, শর্মিলার কেমোথেরাপি বা বড় কোনও চিকিৎসা লাগেনি। তিনি বলেন...
“মা ফুসফুসের ক্যান্সারের স্টেজ জিরোতে ছিলেন- একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। কোনও কেমো বা রেডিয়েশন লাগেনি। শুধু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্যান্সারটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ, টাচউড।”
অভিনয়ের প্রসঙ্গে, পরিচালক করণ জোহর একবার ‘কফি উইথ করণ’-এ প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে শর্মিলা ঠাকুরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখতে চেয়েছিলেন। সেই ভূমিকাতেই শেষ পর্যন্ত অভিনয় করেন শাবানা আজমি। শর্মিলা পরে জানান...
“সেই সময়টা ছিল কোভিডের চূড়ান্ত পর্যায়। আমি তখনও ক্যান্সারের পরে সুস্থ হওয়ার পথে ছিলাম, আর টিকা নেওয়াও হয়নি। তাই পরিবার চায়নি আমি ঝুঁকি নিই।” এরপর যদিও তিনি আবারও অভিনয়ে ফিরেছেন- ‘গুলমোহর’ ও ‘পুরাতন’ ছবিতে তাঁর পারফরম্যান্স সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।