/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/07/saif-2025-10-07-18-30-28.jpg)
যা বললেন সোহা...
সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের প্রেমকাহিনি একসময় বলিউডের অন্যতম আলোচিত সম্পর্ক ছিল। ১৯৯১ সালে তাঁরা বিয়ে করেন, তবে ২০০৪ সালে দুই সন্তান- সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খানের জন্মের পর তাঁদের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটে। এক দশকেরও বেশি সময়, একসঙ্গে কাটানোর পর, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাঁদের পরিবারের অনেকের কাছেই ছিল কঠিন।
সম্প্রতি অভিনেত্রী ও লেখিকা সোহা আলি খান, একটি সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণা করেছেন ভাইয়ের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। নয়নদীপ রক্ষিতের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এমন কিছু বিষয় আছে যা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। একটা বিয়ে যখন ভাঙে, তখন শুধু দুজন নয়, তাদের পরিবারের মধ্যেও একধরনের পরিবর্তন আসে। সময়ের সঙ্গে নতুন সমীকরণ খুঁজে নিতে হয়। বিষয়টি সহজ নয়, তবে ধীরে ধীরে সবার জায়গা তৈরি হয়।”
অমৃতার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে সোহা জানান, “আমার কাছে অমৃতা ছিলেন খুবই কাছের একজন। আমি প্রায়ই তাঁর বাড়িতে থাকতাম, তিনি আমার যত্ন নিতেন, আমাকে ফটোশুটে নিয়ে যেতেন, আমরা একসঙ্গে স্ক্র্যাবল খেলতাম। সেই বন্ধন খুবই উষ্ণ ছিল।”
নিভল থিয়েটার ও পর্দার উজ্জ্বল নক্ষত্র , চলে গেলেন অভিনেতা
তবে বিচ্ছেদের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সোহা বলেন, “যখন সইফ ও অমৃতার সম্পর্ক শেষ হয়, তখন আমরা সবাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তাঁদের সম্পর্কের নতুন ছন্দ তৈরি হওয়ার পর, আমাদেরও নিজেদের জায়গা খুঁজে নিতে হয়েছিল। এখন অবশ্য সবকিছু স্থির। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, সবাই নিজের জীবনে এগিয়ে গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, সারা তখন ৯ বছর এবং ইব্রাহিমের বয়স ছিল মাত্র ৩, যখন তাঁদের বাবা-মা আলাদা হন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে সইফ আলি খান অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান- তৈমুর ও জেহ।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সইফের মা শর্মিলা ঠাকুরও বলেছিলেন, “দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি কখনও সহজ হয় না। যখন দুই সুন্দর সন্তান জড়িয়ে থাকে, তখন তা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। সেই সময়টা সুখের ছিল না, কিন্তু আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি। এখন সবই অতীত- সবাই নিজের জায়গায় শান্তিতে আছে।”