Soham Chakraborty-Dipendu Biswasকলকাতা আর ফুটবল একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। বাঙালির ফুটবল উন্মাদনা আজ আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলার এই ফুটবলের প্রথম সারিতেই যে তিনটি ক্লাবের নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয় সেগুলি হল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল আর মোহামেডান স্পোটিং। এই তিন ক্লাবের জার্সিতেই বিপক্ষের গোলে নেট কাঁপানো শ্রেষ্ঠ বঙ্গ সন্তান দীপেন্দু বিশ্বাস। এবার দর্শকের দরবারে তাঁর জীবনের অজানা কাহিনি। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে শ্রী প্রীতম। ভারতের জার্সি গায়ে পরে দিব্যেন্দু বাংলাকে তথা দেশকে অনেক সম্মানিত করেছেন। ফুটবলের প্রতি আসক্তি আজও বিন্দুমাত্র ফিকে হয়নি।
বর্তমানে তিনি মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ফুটবল সেক্রেটারি। দীপেন্দুর ফুটবল কেরিয়ারের প্রতিটি ম্যাচ আর গোল কোনও বাঙালির কাছেই অজানা নয়। কিন্তু, দিব্যেন্দুর ব্যক্তিগত জীবন মোটেই খোলা পাতা নয়। তাঁর জীবনের একান্ত গোপন কাহিনি এবার বড় পর্দায় আসছে 'দীপু'। ছোট দীপু তাঁর গ্রামের ফুটবল কোচের হাত ধরে অনেকটা লড়াইয়ের পর কলকাতার মাঠে খেলার স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেন। কোচের ভূমিকায় রয়েছে সোহম চক্রবর্তী।
প্রথমবার স্পোর্টস ড্রামায় দেখা যাবে তাঁকে। একইসঙ্গে কোচের ভূমিকাতেও। ছোট্ট দীপুর চরিত্রে অভিনয় করবেন বলিউড মুভি 'ময়দান' খ্যাত আমন মুন্সি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা বর্ষা সেনগুপ্ত। এই ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক ঘটবে বর্ষার। এই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, মৌসুমী সাহা, বিশ্বনাথ বসু, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, তমাল রায় চৌধুরী, দেব রঞ্জন নাগ, অনুশ্রী ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/371cb26c-494.jpg)
বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন ব্রম্ভ বানসাল। উল্লেখ্য, দিব্যেন্দু বিশ্বাস নিজেও এই ছবিতে অভিনয় করছেন। শীঘ্রই শুরু হবে সিনেমার শুটিং।প্রথমবার স্পোর্টস ড্রামায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সোহম। অভিনেতা বলেন, 'অভিনয় জীবনে প্রথমবার এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছি। বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে। নতুন কিছু স্বপ্ন দেখাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে মনের মধ্যে একটা রোমাঞ্চ ফিল করছি। গ্রামবাংলার খুব সাধারণ একটি ছেলের কলকাতার ক্লাবে ফুটবল খেলার অসাধারণ স্বপ্ন নিয়ে তৈরী এই গল্প।'
সোহম আরও যোগ করেন, 'আমার চরিত্রটি সেই ফুটবল টিমে'র কোচের। যার তত্বাবধানে এই সমস্ত কিছু ঘটতে চলেছে, তিনি আমাদের সবার পরিচিত, প্ৰিয় এবং অবশ্যই বাংলার গর্ব- দীপেন্দু বিশ্বাস। স্বনামধন্য এই ফুটবলারের সহযোগিতা ছাড়া এই ছবিটির সম্পর্কে ভাবাটাও আমাদের পক্ষে সম্ভব হত না। এর জন্য তাঁকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/82a6d18f-127.jpg)
অভিনেতার সংযোজন, 'এই রকম বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে একটা আলাদা ইচ্ছে বা রুচির প্রয়োজন হয়। আনন্দের ব্যাপার সেই রুচিসম্পন্ন মানুষ গুলোকে শ্রী প্রীতম সুন্দর ভাবে একজায়গা করে ফেলেছে। গ্রামবাংলার ছেলেদের ইচ্ছে, তাদের স্বপ্নপূরণের খিদে, ভালোবাসা, আবেগ, উন্মাদনা'র ঝলক রয়েছে গল্পের পরতে পরতে। পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সুন্দর্য, চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো ল্যান্ডস্কেপের কথা বলতে গেলে আর শেষ হবে না।'
আরও বলেন, 'এসবের বাইরেও যে ব্যাপারটা আমাকে বলতেই হবে, সেটা হচ্ছে এই ছবির মধ্যে চূড়ান্ত একটা মোটিভেশোনাল সাইড রয়েছে। শুধু আনন্দ নয়, দর্শক এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া প্রজন্ম হল থেকে বেরিয়ে একটা উৎসাহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা এই ফেব্রুয়ারী'র মাঝামাঝি ফ্লোরে যাব। আপনারা সকলে আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন। 'দীপু' যেন বাংলা ছবির জগতে একের পর এক গোল করে। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে আমাদের সবার স্বপ্ন গুলোকে জিতিয়ে আনতে পারে।'