Sohini Sengupta On Body Shaming: চেহারা কি কোনোদিন কোনও প্রফেশনে আজ অবধি বাঁধা হয়ে থেকেছে? চেহারার কারণে নানা জায়গায় মানুষ হেনস্থার শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ বিষয়টা গায়ে মাখেননি। আবার কেউ কেউ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তবে, কিছুদিন ধরে নায়িকাদের ওজন বৃদ্ধির কারণে যেভাবে তাঁকে কটাক্ষ করা হচ্ছিল, তারপর অনেকেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। বলিউডের অন্যতম দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, ঐশ্বর্য রাই এবং বিপাশা বসু - এই দুজনকে নিয়ে নানা আলোচনা। কারণ, তাঁদের ওজন বেড়েছে। নায়িকার ওজন বাড়বে কেন? এই নিয়েই আলচনা।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সোহিনী সেনগুপ্তকে। অভিনেত্রী বাংলা ছবির এক অসামান্য নক্ষত্র। তিনি যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সেগুলি আজও মনে রেখেছেন, বেশিরভাগ। অভিনেত্রী, ক্যারেক্টার আর্টিস্ট। জনপ্রিয় সব ধারাবাহিক থেকে নানা সিনেমা সিরিয়ালে তাঁকে দেখা গিয়েছে। এবং, সোহিনী যে একজন অনবদ্য অভিনেত্রী, সেই নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। অভিনেত্রী কি চেহারার জন্য কোনওদিন কটাক্ষের শিকার হয়েছেন? নাকি রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্ত এবং স্বাতীলেখার মেয়ে বলে এধরনের সমস্যা তাঁকে ছুঁতে পারেনি?
নায়িকাদের ওজন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে...
"আমি একবারই লিডিং অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছি, 'ইচ্ছে' সিনেমায়। সেখানে আমার চরিত্রটা ছিল মায়ের। আমার একটি বড় ছেলে ছিল। কিন্তু, আমি তো বিপাশা এবং ঐশ্বর্য নই। আমি পারমিতার একদিন থেকে ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিতি পাই। আমি কিছু কিছু পাঠ পেয়েছি যেখানে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে, সমস্যা হয়েছে। আবার কোনও জায়গায় কিছুই ম্যাটার করেনি। আমি যদি নায়িকার চরিত্র করতাম, তাহলে আমাদের ভারতবর্ষে কিংবা যেখানেই হোক না কেন, নায়িকা হতে গেলে একটা নির্দিষ্ট বডি টাইপ লাগে। ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হতে গেলে সেটা লাগে না। আমায় যদি নায়িকা হতে হয়, তাহলে হয়তো ওজন নিয়ে ভাবতে হবে। আমায় নিয়ে যদি পরিচালক এমন কিছু ভাবেন তাহলে, কিন্তু আমায় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। ওইটা না হলে হবে না- র মত যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভেবে দেখা যাবে। আমার কখনও মনে হয়নি, যে আমার চেহারা সমস্যা করতে পারে। কারণ, আমি একজন অত্যন্ত ভাল অভিনেত্রী। যদি আমি অভিনয় করতে না পারতাম, তাহলে একটা সমস্যা হত। তাহলে রোগা মোটা হয়তো ম্যাটার করত। কিন্তু আমার পরিচালকরা কোনওদিন বলেননি যে আমায় রোগা হতে হবে। যদি কেউ বলেন, তাহলে সেটা চ্যালেঞ্জ হবে। যে চরিত্রগুলো পেয়েছি, সেগুলো অন্যরকম। তবে, এটুকু বলতে পারি, শরীর সুস্থ রাখার জন্য একটু ওজন কমানো উচিত। আমি এখন বুঝতে পারছি, একটু তো বয়সের দিকে যাচ্ছি। একটু সমস্যা হয়। কিন্তু, স্টেজে বা থিয়েটারে আমার সমস্যা হয়নি। স্টেজে কিন্তু আমি এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছি, যার শারীরিক বৈশিষ্ট্য একটু রোগা রোগা, যেমন মাধবী বা তুলি। কিন্তু, স্টেজে আমি তো সেই চরিত্রে অভিনয় করেছি। মানুষ হ্যাপিলি আমায় গ্রহণ করেছেন।"
নেপটিজম প্রসঙ্গে ...
কিন্তু, এরপরই তিনি উল্লেখ করেন তাঁর পিতামাতার প্রসঙ্গে। এমন দুজন মানুষের সন্তান হওয়ার কারণেই কি তাঁর চেহারা ম্যাটার করল না? কিংবা টলিউডের বুকে নেপটিজম ফ্যাক্টর বুঝতে পারেন তিনি? অভিনেত্রীর কথায়, "রোগা মোটা কিনা জানি না, কিন্তু আমি রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর মেয়ে বলে অভিনয়ের সুযোগ পাই, কিংবা মোটা হলেও আমি যেহেতু তাঁদের সন্তান তাই কাজ আসে, এটা আমি জানি না কেন এতবছর পর শুনতে হয় আমায়। আমি মনে করি, আমার দল মানে নান্দিকারের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি আমায় প্রমাণ করতে হয়েছে। বাবা, কোনোদিন এক্সট্রা কিছু আমাকে দেয়নি। কোথাও আমাকে রেকমেন্ড করেননি। এবং বাবা আমায় কোথাও রেকমেন্ড করবেন, তাহলে আমি যাব না সেখানে। এটা বাবার সঙ্গে আমার ডিল। এতবছর সেই প্যাশন নিয়ে কাজ করছি। এখন আমি নান্দিকারকে লিড করি। কারওর মেয়ে হলেই হয় না। কাজটা জানতে হয়।"
আরও পড়ুন ঘটছিল অঘটন, আচমকাই সাংঘাতিকভাবে সামাল দিলেন আলিয়া, দেখল সবাই...