টলিউডের মধ্যে কী চলছে? সম্পর্কের ডামাডোল নাকি নতুন কিছুর শুরু? সোহিনী এবং শোভনের সম্পর্কের শুরু হতেই নানা দিকে নানা কথা। কখনও প্রসঙ্গ উঠছে প্রাক্তনদের নিয়ে। আবার কখনও তারা দুজনের প্রেম নিয়ে যা নয় তাই বলে চলেছেন।
শোভন এবং সোহিনী - দুই শিল্পী নাকি বাঁধা পড়েছেন ভাকাবসার সম্পর্কে। শোভনের তরফ থেকে সেই ইঙ্গিত মিললেও সোহিনী সেভাবে কিছুই জানান নি। শোভন ভুল করেই কি পোস্ট করেছিলেন? পড়ন্ত বিকেলে শিল্পী নিজের সঙ্গে সোহিনীর আদুরে ছবি পোস্ট করেছিলেন। লিখেছিলেন, আমার সব শেষ তোমার জন্য তোলা থাক। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছবি ডিলিট করে দেন তিনি। এতেই আরও খটকা লাগে সকলের মধ্যে।
কিছুদিন আগেই সোহিনীর প্রাক্তন রণজয় জানিয়েছিলেন, দুমদাম প্রেমে পড়তে পারেন না তিনি। এভাবে প্রেম আসে না তাঁর মধ্যে। এবার, আরেকজনের প্রাক্তনও আর চুপ থাকলেন না। সোহিনীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার আগে শোভন স্বস্তিকার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন। সেই সম্পর্কের ইতি ঘটেছে বেশ কিছুমাস আগে। যদিও, স্বস্তিকার দাবি অনুসারে...
যবে বাকিরা জেনেছেন তাঁর অনেক আগেই সম্পর্কের এটি ঘটেছে। রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে স্বস্তিকার একটি ভিডিও। শুধু তাই নয়, স্বস্তিকার আগে ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ব্রেকআপের পর ইমন এবং স্বস্তিকা একজোট হয়ে মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক পার্টি পর্যন্ত করেছেন। এরমধ্যেই স্বস্তিকার একটি মন্তব্য ভাইরাল। কী বলছেন অভিনেত্রী?
আরও পড়ুন - বিন্দুমাত্র ভয়ডর নেই! চলন্ত প্লেন থেকে লাফ দিলেন মিমি, কে ছিলেন সঙ্গে?
স্বস্তিকা বলছেন, "আমায় কিছুদিন আগে একজন মেসেজ করেছে যে কী রে, এখন তো ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে, কী ভাবছিস? আমি তাকে এটাই বললাম...আমার তো একবছর আগে ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছিল। হ্যাঁ, এটা ঠিক বাকিরা এবং মিডিয়ার সকলে পরে জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু, ততদিন আমি, নিজেকে সামলে নিয়েছি"। এখানেই শেষ না। অভিনেত্রী এও বলেন...
"আমি দুটো জিনিস বুঝি। একটা হলো সম্পর্কে থেকে ব্রেকআপ। আরেকটা হলো সকলকে জানিয়ে ব্রেকআপ। আমার বিচ্ছেদ অনেকদিন আগেই হয়েছিল। সামনে এসেছে অনেক পরে।" যদিও, ব্রেকআপের ঘটনায় দুজনেই চুপ ছিলেন। কাউকেই কিছু বলতে শোনা যায়নি। তবুও, রটেছিল অনেক। এবারও, ব্যতিক্রম না।
টলিউডের অন্দরে বন্ধুদের গ্রুপ কম নেই। সেখানেই সোহিনী এবং শোভনের উপস্থিতি, কাছাকাছি থাকা অনেকেই নতুন সম্পর্কের শুরু বলেই ধরে নিয়েছিলেন। এবার, তাতেও সিলমোহর দিয়েছেন শোভন। তবে, প্রাক্তনদের তরফে নানা মন্তব্য আরও অন্যরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।