১৪ বছর সঙ্গে রেখে স্বপ্ন বুনেছেন। যে চারা রোপন করেছিলেন। এবার সেটারই সোনালি ফসলের ঝলক শেয়ার করলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। 'হীরামণ্ডী'র দুরন্ত ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল বি-টাউনে। কারণ 'গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি'র থেকে এই প্রজেক্টের চাকচিক্য বহুগুণ বেশি। কাস্টিংও তারকাখচিত।
'গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি'তে গণিকালয়ের ঝলক দিয়েছিলেন মাত্র, আর এবার একটা গোটা পতিতাপল্লীকেই সিনেমা থুড়ি সিরিজের সাবজেক্ট বানিয়ে নিয়েছেন বনশালি। শিবরাত্রির বেলায় প্রকাশ্যে এল চোখধাঁধানো টিজার। বলিপাড়ার ছয় রূপসীর রূপ দেখে নেটপাড়ায় আগুন। বনশালির মস্তিকের ম্যাজিকেই 'হীরামণ্ডী'র গণিকারা যেন রানির বেশে ধরা দিলেন। অনুরাগীরাও মুগ্ধ। কে নেই?
সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, মণীষা কৈরালা, অতিদি রাও হায়দরি, সঞ্জীদা শেখ, শর্মিন সেহগালদের দেখা গেল সোনায় মোড়া অবতারে। পরনে সোনালি পোশাক। নাকে বড় নথ। মাথায় টায়রা। সোনালি পোশাকে ছয় রূপসীর দিক থেকে চোখ ফেরানো যেন দায়। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের জন্যই অবিভক্ত লাহোরের প্রেক্ষাপটে এক অন্য গণিকালয় হীরামণ্ডীর গল্প বুনেছেন বনশালি। পতিতারাই সেখানকার রানি।
<আরও পড়ুন: ঝগড়া-কেচ্ছা, অপমান অতীত! ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে স্বরাকে ‘হাসিমুখে’ বিয়ের শুভেচ্ছা কঙ্গনার>
সঞ্জয়ের কেরিয়ারের ম্যাগনাম অপাস বললেও অত্যুক্তি হয় না। লার্জার দ্যন লাইফ সেট। স্বাধীনতাপূর্বের পর্বে আলো-ছায়ায় এক পিরিয়ডিক গল্প। 'হীরামণ্ডী'র সেট তৈরি করা হয়েছে গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে।
'হীরামণ্ডী' পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি জানালেন, পরিচালক হিসেবে এটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। একটা এপিক। প্রথমত, লাহোরের পতিতাপল্লীর প্রেক্ষাপটে তৈরি একটা সিরিজ। বড় পরিসরে তৈরি করা। আমি যতটা উচ্ছ্বসিত ততটাই নার্ভাস। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। গোটা দুনিয়ার সামনে 'হীরামণ্ডী' আসছে খুব জলদি।
প্রসঙ্গত, এর আগে শোনা গিয়েছিল এই সিরিজে মুমতাজ ও শাবানা আজমীকেও দেখা যাবে। তবে বর্তমান সূত্র বলছে, তাঁরা 'হীরামণ্ডী'তে অভিনয় করেননি।