/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/lead2.jpg)
'কনে বউ' ধারাবাহিকে সোনালি চৌধুরী। ছবি সৌজন্য: সান বাংলা
Sonalee Choudhury on Kone Bou serial: নারীপাচার নিয়ে সাম্প্রতিক কালে মানুষ অনেকটা বেশি সচেতন হয়েছেন বেশ কিছু এনজিও এবং সমাজকর্মীদের জন্য। কিন্তু এখনও গ্রাম বাংলায়, বিশেষ করে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলিতে এই ঘৃণ্য ব্যবসা চলছে। এই কঠিন বাস্তবই উঠে আসছে সান বাংলা-র ধারাবাহিক 'কনে বউ'-তে। সেখানে একজন নির্ভীক সমাজসেবিকার চরিত্রে এলেন সোনালি চৌধুরী।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ধারাবাহিকের সম্প্রচার, সোম থেকে রবি, রাত সাড়ে আটটার স্লটে। প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন গৌরব মণ্ডল, অমনদীপ সোনকার ও সোমাশ্রিতা। গল্পের একটি প্রধান চরিত্র কলি নারীপাচার চক্রের খপ্পরে পড়বে এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে উদ্যোগী হবে সোনালি চৌধুরী-অভিনীত চরিত্র তন্বী সেন।
আরও পড়ুন: দাদা বলেছিলেন ও-ই আমার নায়িকা আর ও প্রমাণ করে দেবে: অমনদীপ
ধারাবাহিকের গল্পের শুরুটা মোটামুটি এই রকম-- গ্রামের মেয়ে কলি থাকে বাবা ও সৎমায়ের সঙ্গে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কলি, তার বাবা প্রতিমাশিল্পী। সদ্য যৌবনে পা দেওয়া কলিকে নারী পাচার চক্রের হাতে তুলে দেয় তার সৎমা। কলিকে অপহরণ করে একদল লোক। মেয়ের অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্য চাইতে এসে ব্যর্থ হয় কলির বাবা। ওই সময়েই সেখানে উপস্থিত তন্বী সেন কলির বাবাকে সাহায্যের আশ্বাস দেয়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/inside1.jpg)
এর পরে তন্বী সেনের তৎপরতায় শুরু হয় কলির খোঁজ। সোনালি চৌধুরীর চরিত্রটি একেবারেই বাস্তবের সমাজকর্মীদের দেখে অনুপ্রাণিত। যাঁরা এই ইস্যুটি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সরকারি আমলা থেকে নিচুতলার পুলিশকর্মী, সকলের সঙ্গেই যেমন পরিচিতি থাকে, তেমনই প্রয়োজন পড়লে কীভাবে রাজনৈতিক চাপ সামলাতে হবে, সেটাও তাঁরা ভালো বোঝেন।
ঘটনাক্রমে কলি গিয়ে পড়বে মাহি-র বাড়িতে, যেখানে এখন মাহির বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। মাহির কাছে কলি বলবে তার অভিজ্ঞতার কথা। সম্প্রতি প্রকাশিত ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে দর্শক কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন ধারাবাহিকের গতিপ্রকৃতি।
ধারাবাহিকের প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সোনালি চৌধুরী এর আগে প্রযোজকের ষোলোআনা ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন। সোনালি জানালেন, ''স্নেহাশিসদা যখন প্রথম এই চরিত্রটির কথা বলেন আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাই। তন্বী সেন চরিত্রটি খুবই দৃঢ় এবং মূল্যবোধসম্পন্ন। বাস্তবে আমি যেমন, তার সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে। যে কোনও অভিনেত্রীই এমন একটি চরিত্র করতে চাইবেন। নারীপাচার আমাদের সমাজের অত্যন্ত বড় সমস্যা। তন্বী সেনের লড়াই এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধেই। আমরা একদিকে মা দুর্গার পুজো করি আর অন্যদিকে মেয়েদের বিক্রি করে দিই। তবে তন্বীর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, যেটা এই ধারাবাহিকে আস্তে আস্তে দর্শকের সামনে আসবে।''