ক্রমশ সন্দেহ দানা বাঁধছিল সোনালি ফোগাটের মৃত্যুকে ঘিরে। পরিবারের মানুষেরা জানিয়েছিলেন, তাকে খুন করা হয়েছে। এবং জানা গিয়েছিল এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারই সহকারী দুই সংভান এবং সুধীর। তাদেরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সোনালি ফোগাটের মৃত্যু রহস্যে।
গোয়ায় ২৩ শে আগস্ট মৃত্যু হয় সোনালির। পরিবার সূত্রে অভিযোগ উঠেছিল তাকে গোয়ায় নিয়ে যাওয়াই হয়েছিল খুন করার জন্য। সাতদিনের নাম করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে? সূত্রের খবর, গোয়ায় ফটোশুট করার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। সোনালিকে হত্যা করতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। দীর্ঘদিন ধরে ছক কষেছিলেন সোনালির সহকারীরা।
আরও পড়ুন < ‘মাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে’, CBI তদন্তের আর্জি সোনালি-কন্যার >
তার পানীয়ে মাদক মেশানো হয়েছিল বলেই অভিযোগ। প্রথমে অভিযোগ উঠেছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনালি। তবে জেরার পরে সুধীর জানান, সোনালিকে হত্যা করার ছকই করেছিলেন তারা। তাদের এই স্বীকারোক্তির দিকেই লক্ষ্য ছিল পরিবারের সদস্যদের। কন্যা যশোধরা জানিয়েছিলেন, মায়ের মৃত্যুর তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না। সিবিআই তদন্তের দাবিও রেখেছিলেন তিনি।
মাদক মেশানো পানীয় পান করার পর থেকেই নিজের ওপর আয়ত্ব হারান সোনালি। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমেও প্রমাণ মিলেছিল জোর করে তাকে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুদিনের জন্য রিসোর্ট বুক ছিল তবে সাতদিনের নাম করে সোনালিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই জানিয়েছিলেন তার মেয়ে।
গোয়া পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের একযোগে মৃত্যু তদন্ত চলছে। তবে এরই মধ্যে সোনালির খামারবাড়ি থেকে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন এক অভিযুক্ত, তাকেও গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ।