আয়কর ফাঁকির অভিযোগ উঠল সোনম কাপুরের (Sonam Kapoor) স্বামী আনন্দ আহুজার (Anand Ahuja) বিরুদ্ধে। দিল্লিবাসী আনন্দ পেশায় আসলে ব্যবসায়ী। খ্যাতনামা জুতোর ব্র্যান্ডের মালিক। তাঁর বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে জাল নথি দিয়ে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলল একটি আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থা। সোনমের স্বামী যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঠিক কী ঘটেছে? ঘটনার সূত্রপাত আসলে আনন্দ আহুজার একটি টুইটকে ঘিরে। ২৭ জানুয়ারি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ওই আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আনন্দ আহুজা লিখেছিলেন, "কেউ কি 'মাই ইউএস শোপাহলিক' সংস্থায় কর্মরত কাউকে চেনেন? সম্প্রতি ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। ওই সংস্থা আমার ব্র্যান্ডের পণ্য অবৈধভাবে আটকে রেখেছে। কোনও কারণ ছাড়াই বৈধ কাগজপত্রও নিতে অস্বীকার করছে।" স্বামীর এই টুইট করে সোনম কাপুর লিখেছেন, "এদের কাস্টমার সার্ভিস সত্যিই ভয়ঙ্করভাবে নির্লজ্জ।"
সোনমের টুইটের পরই আনন্দের তোলা অভিযোগ নজরে আসে ওই আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থার। নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। পাল্টা তাঁদের পক্ষ থেকে আনন্দ আহুজার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তিনি নাকি জাল নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। টুইটে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "এটা কাস্টমার সার্ভিসের বিষয়ই নয়। মিস্টার আহুজাই পণ্যের দাম ভুল বসিয়েছেন, যাতে কর ফাঁকি দেওয়া যায়। আবার আমদানি শুল্কও কমাতে পারেন পরে। এর জন্যই প্রোডাক্টের দাম ৯০ শতাংশ কম দেখানো হয়েছে।"
<আরও পড়ুন: আলিয়ার ‘গাঙ্গুবাই’ নকল করে ভিডিও খুদের, ‘এই বয়সে যৌনতা শিখছে!’ বলে তেড়ে উঠলেন কঙ্গনা>
এরপর চুপ থাকেননি সোনম কাপুরের স্বামীও। পাল্টা আরেক টুইটে আনন্দ লেখেন, "ওই আন্তর্জাতিক সংস্থাই ব্যাঙ্কের সমস্ত রশিদ বাতিল করেছে যাতে পণ্য দেরি করে পৌঁছয়, আর বেশি করে জরিমানা আদায় করা যায়।" এরপরই ওই শিপিং সংস্থার সঙ্গে সমস্ত চুক্তি বাতিল করেন আনন্দ আহুজা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আনন্দ আহুজার সঙ্গে সাত পাকে বাঁদা পড়েন সোনম কাপুর। তারপর থেকেই অভিনয়ের পাশাপাশি চুটিয়ে সংসার করচেন কাপুর-কন্যা। কখনও লন্ডনে কাটাচ্ছেন তো কখনও দিল্লিতে। শেষবার অভিনেত্রীকে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানির 'একে ভার্সেস একে' সিরিজে দেখা গিয়েছিল। যেখানে অভিনয় করেছিলেন তাঁর বাবা অনিল কাপুর ও অনুরাগ কাশ্যপ। সোনমের পরবর্তী ছবি 'ব্লাইন্ড'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন