পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'মিশর রহস্য' (২০১৩) ছবিতে সোনু নিগমের গলায় 'হানি আলকাদির গান' যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। এবার ফের একবার সেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতেই শোনা যাবে সোনু নিগমের গান। পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে সৃজিতের পরিচালনায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত 'গুমনামি'। সেই ছবিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ গান গেয়েছেন সোনু নিগম। গায়কের জন্মদিনে পরিচালক নিজেই জানিয়েছেন একথা।
অন্যদিকে, সৃজিতের ‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘জাতিস্মর’, ‘জুলফিকর’ ও কাকাবাবু সিরিজে বারবার ফিরেছেন প্রসেনজিৎ। আবারও দর্শক পেতে চলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জুটিকে। ছবির অন্যান্য চরিত্রে কারা রয়েছেন, তা এখনও রহস্যে আবৃত। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ছবির ডাবিং। কলকাতার প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হতে চলেছে এই ছবি। কিন্তু কে এই বাবা? যিনি আবার কিনা গুমনামি। তিনি কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস? সুভাষ বোসের অন্তর্ধান রহস্যকেই ঘনীভূত করবে এই ছবি।
আরও পড়ুন, ‘দুপুর ঠাকুরপো’-র তৃতীয় সিজন, পর্দায় নতুন বৌদি
তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল নাগাদ উত্তর প্রদেশে আর্বিভাব ঘটে গুমনামি বাবার। অনেকে বলতে শুরু করেন, এই বাবা আসলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। তাঁর সঙ্গে নেতাজীর আদলের মিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে বলেন, আজাদ হিন্দ ফৌজের কিছু চিঠিপত্রও পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, ‘গুমনামি’ অর্জুন ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের লেখা বই ‘কোনানড্রাম’ থেকে অনুপ্রাণিত।
এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট শেষবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে। একটি বিমানে চড়ছিলেন তিনি। ইতিহাস বলে, ভেঙে পড়েছিল সেই বিমান, অথচ বিমানের ধ্বংসাবশেষ অথবা নেতাজীর দেহ উদ্ধার হয় নি কখনও। তার পর থেকে বহু মানুষ বহুবার দাবি করেছেন, বেঁচে আছেন নেতাজী। কিন্তু কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেন নি। পাশাপাশি, তাঁর মৃত্যুর প্রমাণও পাওয়া যায় নি আজ পর্যন্ত। তবে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম মানলেও আজ তাঁকে মৃতই ধরে নিতে হবে।