মানুষের কল্যাণসাধন করে বারবার করে শিরোনামে উঠে এসেছেন সোনু সুদ। উচ্চ- শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। পড়তেন ইঞ্জিনিয়ারিং। ঝকঝকে মার্কসিট। পড়াশোনায় মেধাবী হয়েও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নাম লেখান সোনু। আর সেই অভিনেতাই এখন দেশের দুস্থদের কাছে মসিহা। অতিমারীকাল থেকে শুরু করে এযাবৎকাল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের মোড় ঘুরেছে তাঁর হাত ধরে।
Advertisment
পড়তেন নাগপুরের যশবন্ত্রো চবন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সেখানে পড়াকালীনই মডেলিং, অভিনয়ের দিকে ঝোঁক হয় সোনু সুদের। অতঃপর শুরু হয় গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে পা জমানোর চেষ্টা। সেইসময়েই পকেটে ৫ হাজার টাকা নিয়ে রাতারাতি মুম্বইতে চলে আসেন সোনু সুদ। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি দিয়েই নায়ক হওয়ার শিকে ছেঁড়েন। চলতে থাকে স্ট্রাগল। অরপর বলিউড বড় ব্রেক পান ২০০২ সালে ভগৎ সিংয়ের ভূমিকায় 'শহিদ-এ-আজম' সিনেমায় অভিনয় করে। ঠিক যে সালে অজয় দেবগণ অভিনীত ভগৎ সিংয়ের জীবনকাহিনী অবলম্বনে 'দ্য লেজেন্ড অফ ভগৎ সিং' মুক্তি পায়।
সিনেইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ভগৎ সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করে পাঞ্জাব, হরিয়ানায় বিতর্কে জড়ান সোনু সুদ। পরে অবশ্য সে বিতর্কের পরিচতিতে ভর করেই বলিউডের একের পর হিট সিনেমায় অভিনয় করেন। কখনও পার্শ্ববর্তী চরিত্রে, কখনও বা খল ভূমিকায় নজর কাড়েন সোনু। তবে বলিউডে পা রেখেই একটা বড়সড় প্রশংসা পান অভিনেতা। সোনুর উচ্চতার জন্য বলিপাড়ার অনেক প্রযোজক-অভিনেতাই তখন তাঁকে অমিতাভ বচ্চনের নকল বলে ডাকতেন। পাশাপাশি দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রিতেও চুটিয়ে কাজ করছিলেন।
তবে ২০২০ সালে করোনাকালে সোনু সুদ দেশের পরিযায়ীব শ্রমিকদের জন্য যা করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। তাই তো বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের দুস্থ মানুষের কাছে সোনু সুদ 'ঈশ্বরের দূত' হয়ে উঠেছেন। কোথাও অভিনেতার নামে রাস্তা, দোকান তৈরি হয়েছে, আবার কোনও মা তাঁর সন্তানের নাম রেখেছেন সোনু সুদের নামে। আবার কোথাও মন্দিরে ভগবান-রূপে পূজিত হন সোনু সুদ।
অতিমারীকালে দেশের আমজনতার সেবা করায় পাঞ্জাবের স্টেট আইকন হিসেবেও ঘোষণা করা হয় সোনু সুদকে। কারণ, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভূমিপুত্র তিনি। তবে বোনের রাজনীতিতে যোগদান করার পরেই সেই সম্মান ফিরিয়ে দেন তিনি পাঞ্জাব সরকারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন