Sunday With Soumitra: রবিবাসরীয় দুপুরে জমজমাট ভুরিভোজ সেরে মন চাইছে একটু সিনেমা দেখতে। হালফিলের সিরিজ বা লেটেস্ট সিনেমা নয়, একটু পুরনো দিনের ছবি দেখতে মন চায় অনেকেরই। ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে মনপসন্দ যে কোনও সিনেমাই এখন হাতের মুঠোয়। কারও পছন্দ উত্তমকুমার তো কেউ আবার ভালবাসেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমা দেখতে। অপুর সংসার হোক বা বেলাশেষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী ছবিগুলো যুগে যুগে সমাদৃত। বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত কোনও সিনেমার মাহাত্মই কোনওদিন ফিকে হবে না। বর্তমানে কোটি কোটি টাকা বক্স অফিস কালেকশন বা সুপারহিট তকমা জড়ানো সিনেমাগুলো কোনওদিন পর্দার অপু-কে টেক্কা দিতে পারবে না, সে কথা বলাইবাহুল্য।
২৫ মে রবিবার, যাঁরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা এই ছবির তালিকা থেকে একটি বেছে নিতেই পারেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সব ছবিই বারবার দেখতে মন চায়। কিন্তু, রবিবাসরীয় দুপুরে ম্যাটিনি ম্যাজিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন সিনেমাগুলো দেখতে পারেন। এক নজরে দেখে নিন তালিকা। প্রথণেই যে সিনেমার কথা মনে আসে খুব স্বাভাবিকভাবেই অপুর সংসার। সাদা-কালো জমানার এই ছবি দিয়েই রুপোলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এরপর সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটির ১৪টি ছবি বক্স অফিসে তুফান তুলেছিল।
সৌমিত্রর সিনেমা বললে চারুলতা-কে তো কোনওভাবেই বাদ দেওয়া যায় না। সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটির এক কালজয়ী সৃষ্টি এই ছবি। মাধবী মুখোপাধ্যায় আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই ছবি বর্তমান প্রজন্মও দারুণ উপভোগ করে। রবিবারের ম্যাটিনি শোয়ে যদি উত্তম-সৌমিত্র জুটির ছবি উপভোগ করতে চান তাহলে দেখে ফেলুন তরুণ মজুমদার পরিচালিত ঝিন্দের বন্দী। উল্লেখ্য, সত্যজিৎ ছাড়াও তরুণ মজুমদারের ছবিও সৌমিত্রর ফিল্মি কেরিয়ারের মাইলস্টোন।
সিরিয়াস ইমেজের বাইরে রোম্যান্টিক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে হলে অবশ্যই দেখুন তিন ভুবনের পারে। তনুজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দর্শককে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এই সিনেমার গান আজও লোকমুখে ফেরে। ঋতুপর্ণ ঘোষের নির্দেশনায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছবি অসুখ। সৌমিত্র-দেবশ্রীর বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণের ভিত্তিতে এই ছবি জিতেছিল জাতীয় পুরস্কার। রবিবার দুপুরে এমন ছবি দেখেও পারফেক্ট ছুটি উপভোগ করতে পারেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর ফেলুদা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। তাঁর জন্যই তো সত্যজিৎ রায় ফেলুদার গল্প বুনেছিলেন। মগজাস্ত্রের প্রয়োগে তিনিই তো পর্দায় প্রদোষ মিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। সোনার কেল্লা দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। তাই রবিবারের ম্যাটিনি ম্যাজিকের তালিকায় নিঃসন্দেহে রাখতে পারেন এই ছবিটিও। এছাড়াও দেখতে পারেনে বেলাশুরু বা বেলাশেষে ছবি দুটিও।
আরও পড়ুন ম্যাটিনি ম্যাজিক! রবিবাসরীয় দুপুরে দেখে ফেলুন উত্তম-সুচিত্রার এই ৫ টি প্রেমের ছবি