কেকে-র সমালোচনা করে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi)। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বইয়ের জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের আকস্মিকপ্রয়াণ। আর তারপরে-ই রূপঙ্কর বিপাকে! বিতর্কিত সেই ভিডিও নিয়ে দিনভর নেটদুনিয়ায় তুমুল সমালোচনা। বিতর্কের ঝড়। এমনকী, টুইটারেও ট্রেন্ডিং রূপঙ্কর। যে বাংলার শিল্পীদের হয়ে মুখ খুলেছিলেন, সেই ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়রাও দাঁড়াননি তাঁর পাশে। বাংলার সঙ্গীতশিল্পীকে প্রায় ধুয়ে দিচ্ছেন কেকে-অনুরাগীরা।
নেটদুনিয়ায় কটাক্ষ, কটুক্তি ভরা মন্তব্যের ছয়লাপ। শুধু তাই নয়, খুনের হুমকি পেয়ে বুধবারই সস্ত্রীক টালা থানায় ছুটে গিয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচি। এমতাবস্থায় যে কারোর-ই মানসিক পরিস্থিতি যে ঠিক থাকে না, সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। দাঁড়ালেন রূপঙ্কর বাগচির পাশে।
শ্রীলেখার আশঙ্কা, "এরপর ভগবান না করে রূপঙ্করদার ভাল-মন্দ একটা কিছু হয়ে যায়। হলে নিজেদের ক্ষমা করতে পারব তো আমরা? এই সিস্টেম-টাই দায়ী, কোনও একজন নয়। রূপঙ্করদার সমালোচনা না করে বরং এটা জিজ্ঞেস করুন যে, কেন আমরা কেকে-কে হারালাম? রূপঙ্করদাকে শিখণ্ডীতে খাঁড়া না করে ভাবুন, অনুষ্ঠান চলাকালীন কেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কীভাবে? অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের পরই নেটদুনিয়ায় শোরগোল। অনেকে শ্রীলেখাকেও পাল্টা কটাক্ষ করেন। সেই প্রেক্ষিতে তিনি এও জানান যে, আপনারা যদি ভেবে থাকেন রূপঙ্করদা আমার ঘনিষ্ঠ, তবে জানিয়ে রাখি, সেটা নয়।"
<আরও পড়ুন: ‘নোংরামি বন্ধ করুন! রূপঙ্করদাকে কোণঠাসা করবেন না’, প্রতিবাদী শ্রীলেখা>
নেটদুনিয়ায় কেন রূপঙ্কর বাগচিকে নিয়ে ক্রমাগত এত কটুক্তির ঝড়, সমালোচনা? সেই বিষয়েও নেটজেনদের মনস্ত্বত্তের পাঠ দিলেন শ্রীলেখা মিত্র। বললেন, "কেউ কোনওদিন কারও সম্পর্কে কিছু বলেননি তো, সবাই এত মহৎ? আমরা সবাই এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ওঁর পরিবারের কথা ভাবুন। ওঁকে ক্ষমা চাইতে দিন নিজে থেকে। এত ট্রোল-সমালোচনা কোনও মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একটু ভাবুন।"
নেটিজেনদের উদ্দেশে অভিনেত্রী আরও বলেন, "রূপঙ্করদার জন্য কেকে-কে হারাইনি। তোমাদের কষ্ট-রাগ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু একজন শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আরেকজনকে ছোট করা উচিত নয়। কেন ওরকম মন্তব্য করেছেন, জানা নেই । মানুষের মন বড় জটিল। ট্রোল করা বন্ধ করুন।" KK-কে গানস্যালুট দেওয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারকেও কটাক্ষ শ্রীলেখার। বললেন, "শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন