পথচলতি কত বৃহন্নলার সঙ্গেই দেখা হয় কতজনের। কড়া তালির শব্দে কেউ বা গাড়ির জানলার কাচ উঠিয়ে দেন, আবার কেউ বা শব্দের ফুলঝুড়ির হাত থেকে রেহাই পেতে টাকা গুঁজে বিদায় হন। "সব ভাল তো?" বৃহন্নলা, রূপান্তরকামদের সঙ্গে এটুকু কুশল-মঙ্গল বিনিময় সম্ভবত কারোর-ই খুব একটা হয়ে ওঠে না। তবে শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) পোস্ট বলছে অন্য কথা। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির সঙ্গে শুধু কথোপকথনই নয়, বরং মুহূর্তকে স্মৃতিবন্দি করে রাখতে সেলফিও তুলে নিলেন অভিনেত্রী।
যাচ্ছিলেন ডেটে। যে-সে ডেট নয় আবার, নায়িকার মতে 'প-সাম ডেট'। কী বস্তু? আসলে শ্রীলেখা মিত্রের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, শশাঙ্ক নামে এক রেড ভলান্টিয়ার পথকুকুর দত্তক নিয়েছেন। তিনি অবশ্য শুধু নায়িকার শর্ত মেনে ডেটে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্যই এই দত্তক নেননি। বরং, মানবতার পথ থেকেই পথকুকুরদের অভিভাবক হয়েছেন। আর সেই জন্যই শশাঙ্কর সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। যাওয়ার পথেই এই কাণ্ড!
রাস্তায় শ্রীলেখাকে দেখে এগিয়ে আসেন এক বৃহন্নলা। অভিনেত্রীর গাড়ি তখন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে। হাসিমুখে শ্রীলেখা তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। উচ্ছ্বসিত সেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। হাসিমুখে সেই মুহূর্কে মুঠোফোনবন্দি করে নিলেন অভিনেত্রী।
<আরও পড়ুন: বয়স যেন সংখ্যা! ভারতীয় দলকে উৎসাহ দিতে বুড়ো হাড়েই ভেলকি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র>
আর সেই ছবি শেয়ার করেই শ্রীলেখা লিখেছেন, "'প-সাম ডেট'-এ যাওয়ার পথে গতকাল এই ছবিটা তোলা। ওঁদের সঙ্গে যতবার দেখা হয়, ততবার আমার সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করেন ওঁরা। কখনও আমায় চিনতে পেরে প্রশংসা করে, আবার কখনও বা লিপস্টিকের রং নিয়ে কম্পিমেন্ট দেন। বিশ্বাস করুন, এসব আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। কিছু ভালবাসা আর পজিটিভিটি শেয়ার করলাম। ভালো থাকবেন।"
সেলফিতে শ্রীলেখার পাশাপাশি কাচের জানলার বাইরে হাসিমুখে পোজ দিতে দেখা গেল ওই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষটিকেও। তিনি যে নায়িকার অমন ব্যবহারে বেজায় উচ্ছ্বসিত, তাঁর চোখ-মুখের ভাব-ই সেটা বলে দিচ্ছে। নায়িকার এমন কাজে প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরাও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন