পুজোর আগে শুটিংয়ের প্রচণ্ড চাপ। আগে থেকে বিশেষ পর্বগুলোর ব্যাঙ্কিং করে রাখার জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এখন প্রায় নিত্যদিনই অতিরিক্ত ঘণ্টায় কাজ করতে হচ্ছে। অতঃপর শপিং তো দূরঅস্ত, দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার সময় অবধি পাচ্ছেন না তাঁরা। কিন্তু পুজো মানেই তো কেনাকাটা। তাই হাজার ব্যস্ততার মাঝে শপিং করাটা বাদ যায় না কোনওমতেই! সেই প্রেক্ষিতে ইন্দ্রাণী হালদারও (Indrani Haldar) বেরিয়ে পড়েছিলেন ‘শ্রীময়ী’ (Sreemoyee) সিরিয়ালের শুটিং শেষ করে।
সোজা চলে গেলেন গড়িয়াহাট চত্বরে। পুজোর মরসুমে সেখানে পথচলতিদের মাথা গোনা দায়! ভীড়ে থিকথিক করছে একেবারে বাসন্তীদেবী কলেজ চত্বর। মাছি গলার জায়গাটুকুও নেই। এরমাঝেই গাড়ি থেকে নেমেছেন সদ্য ইন্দ্রাণী। ব্যস, অমনি প্রিয় নায়িকাকে দেখে শোরগোল পড়ে গেল। প্রথমটায় ভেবেছিলেন, মাস্ক পরে রয়েছেন। তাই কেউ দেখতে পাবে না। কিন্তু তা আর হল কই! ঠিক অভিনেত্রীকে দেখে চিনতে পারলেন ভক্তরা। অনি হাকডাক শুরু হল ফুটপাত-জুড়ে। তারপর?
জমায়েত ইন্দ্রাণী হালদারকে ঘিরে। মিনিট পাঁচেক ধরে ওই ভীড় ঠেলে হাঁটার ক্ষমতা অবধি ছিল না তাঁর। এদিকে ফুটপাতের শাড়ি বিক্রেতারা ততক্ষণে হাঁকডাক শুরু করেছেন, “দিদি আমাদের থেকে নিয়ে দেখুন! ভাল শাড়ি পাবেন..” তবে টলিউডের প্রথম সারির অন্যতম নায়িকা হয়েও ইন্দ্রাণী কিন্তু ফিরিয়ে দিলেন না তাঁদের। পাঁচজনের কাছ থেকে মোট ৫টি শাড়ি কিনে ফেলেছেন। এমনকী সেসব শাড়ি পরে ইতিমধ্যে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জন্য শুটও সেরেছেন। পুজোতেও পরবেন বলে কথা দিয়েছেন। ছবি তুলে পরে সেসব বিক্রেতাদের পাঠাবেন।
[আরও পড়ুন: আশিতেও সুইট সিক্সটিন! আইটেম গানে নেচে বাজিমাত লিলি চক্রবর্তীর]
স্টার জলসার ফেসবুক পেজে সিরিয়ালের মেকআপ সারতে সারতেই একথা শেয়ার করলেন ইন্দ্রাণী হালদার। তাঁর মন্তব্য, সবসময়ে নামী দোকানের শাড়িই যে কিনতে হবে, এমনটা নয়! গড়িয়াহাটের ফুটপাত থেকে শাড়ি কিনেও বেজায় খুশি তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন