Sreemoyee Chattoraj News: সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ। ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্মজীবনের নানা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। কখনও রান্নাঘর থেকে রকমারি পদ রান্নার ভিডিও শেয়ার করেন তো কখনও আবার কাঞ্চনের সঙ্গে ডেট নাইটের মোমেন্ট। এই মুহূর্তে বুলেট সরোজিনীতে অভিনয় করছেন। রিয়েলের মতো রিলেও মায়ের ভূমিকাতেই দেখা যাচ্ছে শ্রীময়ীকে। ঘরে-বাইরে একসঙ্গে সামলাচ্ছেন শ্রীময়ী। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার উইন্ডোজ প্রোডাকশনের মাধ্যমে রক্তবীজ ২-এ বড় পর্দায় বিগ ব্রেকও পেয়েছেন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের গ্রাফ একেবারে ঊর্ধমুখী। সুখী দাম্পত্য আর সফল কেরিয়ারের মাঝেও বিগত কয়েকটা দিন খুবই কষ্টের মধ্যে কেটেছে। এতদিন সেই বিষয়ে মুখ না খুললেও, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট শেয়ার করলেন শ্রীময়ী।
মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এসেছেন শ্রীময়ীর দিদা। এই কয়েকটা দিন কতটা উদ্বেগের মধ্যে কেটেছে তারই বিবরণ দিয়েছেন অভিনেত্রী। দিদার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'আমার দিদার বয়স ৮৬ বছর, আমার দাদু একজন রেলওয়ে কর্মী। ওঁর বয়স ৯৬ বছর। উনি রেলওয়েকর্মী হওয়ার সুবাদে রেলেওয়ে হসপিটালের একটা পরিষেবা পায়। সেখানে আমার দিদাকে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতালে দিদার ভুল চিকিৎসা করা হয়। তাঁরা বলেন, দিদার রোগটা বুঝতে পারছে না। অন্য একটি রোগ অনুমান করে ওই হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল। সেই মতো ওষুধ খাওয়ানো হলে তাতে কোনও লাভ হয় না। কিছুদিন পর ওঁরা বলেন এই রোগীর কোন চিকিৎসা হবে না। একপ্রকার ভেবেই নিয়েছিলেন উনি মারা যাবেন। কয়েকদিন পর বাড়ির লোক ডেকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়। দিদা ভর্তি থাকাকালীন,আমিও দিদাকে দেখতে গিয়েছিলাম। গত শনিবার আমার দাদু আমাকে ফোন করে বলেন দিদাকে ইমিডিয়েটলি কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য না হলে দিদা আর বাঁচবে না।'
লড়াই কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল সেই কথা উল্লেখ করে আরও যোগ করেছেন'এখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দিদাকে ভর্তি করানো হয়। সোমবার থেকে দিদার চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসক বন্ডে সই করিয়ে দিদাকে ভর্তি করাযন। ওঁরাও সেই মুহূর্তে বলেছিলেন অনেক দেরি হয়ে গেছে নিয়ে আসতে। অনেকটা বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। এত বয়স তো কিছু করা যাবে কিনা আমরা খুব সন্দেহে আছি। মনকে শক্ত করুন। আমরা সবাই আশায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। শুধু দিন গুনছিলাম কবে দিদার দুঃসংবাদটা পাব। কিন্তু তারপর যা চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয়। ফলাফল হিসেবে ১০ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত বুধবার দিদা সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে গেলেন। দিদাকে একটা নতুন প্রাণ ফিরিয়ে দিল। আমি সারাজীবন ওই হাসপাতালের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। নার্স, আয়া ও সকল কর্মচারী যাঁরা দিদাকে দেখতেন তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া দিদাকে আমরা এভাবে ফিরে পাব ভাবতেও পারিনি।'
আরও পড়ুন 'কাজের প্রতি সৎ ছিলাম বলেই...', রক্তবীজ ২-তে সুযোগ পেয়ে স্বপ্নপূরণ শ্রীময়ীর