Sreemoyee Chattoraj Mullick In Raktbeej 2: শ্রীময়ী চট্টরজের মেয়ের বয়স মাত্র চার মাস। কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ধীরে ধীরে শুটিং ফ্লোরে ফেরার প্রস্তুতি নেবেন। তাঁর আগেই বিরাট ধামাকা। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের আগামী ছবি রক্তবীজ ২-এ কাজের সুবর্ণ সুযোগ। কাঞ্চনের থেকে কতটা সহযোগীতা পেলেন? ছোট্ট কৃষভি এখন থেকেই বুঝবে তাঁর মা 'ওয়ার্কিং'? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে খোলামেলা কথায় শ্রীময়ী চট্টরাজ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বিবাহবার্ষিকীর দিনই জিনিয়াদি আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। আমার সেই দুঃসাহস হয়নি যে জিজ্ঞাস করব কোন চরিত্রের জন্য এই প্রস্তাব। শিবুদা-নন্দিতাদি বা উইন্ডোজ প্রোডাকশনের গল্পের বুনন এত সুন্দর যে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীর ওঁদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছে থাকে। ছোট থেকে বড় প্রতিটি চরিত্রের মাত্রায়ন অসাধারণ। আমার ক্ষেত্রে এটা ড্রিম কামস ট্রু। উইন্ডোজের ব্যানারে কাজ করে আমি আপ্লুত।'
কেমন চরিত্রে দেখা যাবে শ্রীময়ী চট্টরাজকে? অভিনেত্রী জানান, দর্শক আমাকে ক্যামিও চরিত্রে দেখবে। আমি সেরার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। রিপোর্ট কার্ডে দর্শক কত মার্কস দেয় এখন সেটাই দেখার।' এবার তাহলে বড় পর্দায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর যুগলবন্দি দেখবে দর্শক? মিসেস মল্লিক জানান, 'না, আমি আর কাঞ্চন জুটি নই। তবে একটি দৃশ্যে আমি, মিমিদি আর কাঞ্চন একসঙ্গে রয়েছি। আমার সঙ্গে যিনি রয়েছেন তিনিও ইন্ডাস্ট্রির একজন নামজাদা অভিনেতা।' কৃষভির জন্মের পর এখন আপাতত ছুটির মেজাজেই রয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। যদিও শীঘ্রই কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। তার আগেই বড় পর্দায় বিগ ব্রেক।
শ্রীময়ী আনন্দের সঙ্গে বলেন, 'একজন অভিনেত্রী হিসেবে তো আমি সবসময় ভাল কাজের সন্ধানে থাকি। কেরিয়ারের শুরু থেকেই একটা বিষয়ে আমি ফোকাস করেছিলাম, আমি চরিত্রাভিনেতা হব। ভিন্নস্বাদের চরিত্রে অভিনয় করার খিদেটা আমার মধ্যে রয়েছে। টেলিভিশনেও অনেকরকম চরিত্র করেছি, বেশিরভাগই নেগেটিভ। শিবুদা-নন্দিতাদির সঙ্গে কাজ করে আমার অভিনয় কেরিয়ারের একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। ফ্লোরে বসে আমি বাকিদের শুটিং দেখেছি। অনেক কিছু শিখতে পারলাম।'
কৃষভি জীবনে আসার পরই কেরিয়ারের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। মেয়ে তাহলে লাকি চার্ম? শ্রীময়ীর সংযোজন, 'আমি ওভাবে কৃষভিকে লাকি চার্ম বলতে চাই না। প্রতিটি সন্তানই তাঁর মায়ের কাছে লাকি। আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমি জানি কাজের প্রতি যদি সৎ থাকি তাহলে ঈশ্বর আমার সহায় হবেন। হয়ত সময়সাপেক্ষ, কিন্তু ভাল সুযোগ আসবেই। ধৈর্য্যের পরীক্ষায় শুধু পাশ করতে হবে।' রক্তবীজ ২-তে সুযোগ পাওয়ার পর মনের এক বিশেষ উপলব্ধির কথা শেয়ার করলেন শ্রীময়ী।
তাঁর মতে, 'কাঞ্চন আমার জীবনে এসেছে বলেই হয়ত আজ চারমাসের মেয়েকে রেখে কাজে যেতে পারছি। আমার কাজকে সে সম্মান করে বলেই এটা সম্ভব। আমার কাছে এই প্রস্তাবটা আসার পর কাঞ্চনকেই বলেছিলাম। আমাকে একটাই কথা বলেছিল হাতের লক্ষ্মী যেন পায়ে না ঠেলি। কাজ পাওয়ার জন্য তো আমরা তপস্যা করি। তাই আমি যেন নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। পরিবার পাশে ছিল বলেই হয়ত আমি উইন্ডোজের সঙ্গে কাজের স্বপ্নটা পূরণ করতে পারলাম।'
কৃষভিকেও ছোট থেকে বুঝতে হবে শ্রীময়ী চট্টরাজ ওয়ার্কিং মাদার? শ্রীময়ীর বিশ্লেষণ, 'সময় বদলেছে। নীরা-পুরুষের সমানাধিকারের জমানা। পুরুষ মানুষই একমত্র সংসারের জোয়াল টানবে সেটা কখনই উচিত নয়। কৃষভির জন্য যখন কিছু কিনি আমার খুব আনন্দ হয়। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা খুব প্রয়োজন। আমিও চাই আমার মেয়েও এটা দেখেই বড় হোক আমাকে ভাল মানুষ হতে হবে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।'