Sreemoyee Holi 2025: দিনটা ছিল ২৫ মার্চ। গত বছর এই দিনই রঙের উৎসবে মেতেছিল ১৩ থেকে ৮৩। আর মল্লিক পরিবারে তখন খুশির ডবল ডোজ। একদিকে উৎসবের আমেজ আর অন্যদিকে শ্রীময়ী-কাঞ্চনের জীবনে নতুন সদস্য আসার সুখবর। দেখতে দেখতে এসে গেল আরও একটা বসন্তোৎসব। তবে দিনটা আলাদা। ১৪ মার্চ দোল-এর দিন জিয়া নস্ট্যাল শ্রীময়ী। আজ বড্ড মনে পড়ছে কী ভাবে গত বছর নিজের অজান্তেই কৃষভি তাঁর জীবনটাকে রাঙিয়ে দিয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে শ্রীময়ী বলেন, 'এখন আমার দোল খেলতে একদমই ভাল লাগে না। কিন্তু, এইদিনে কৃষভি আমার জীবনে এসেছিল তাই বসন্তোৎসব আমার কাছে ভীষণ প্রিয় একটা দিন।'
ছোট্ট সোনা আসার পর মল্লিক পরিবারে প্রথম দোল। কিন্তু, শ্রময়ী জানালেন মেয়ের জন্যই কোনও সেলিব্রেশন হচ্ছে না। তাঁর কথায়, 'কৃষভি এখন খুবই ছোট, মাত্র চার মাস। তাই বাড়িতে আবির বা রং খেলতে কাঞ্চন একদম বারণ করে দিয়েছে। আজ ভোরে আমাদের বাড়িতে দোল পূর্ণিমার পুজো হল। ওর জন্য নতুন জামা কেনা হয়েছিল। পুজোর সময় সেই জামাটা পরিয়ে দিয়েছি। একটা কাজলের টিকা আর একটু পাউডারেই কৃষভি এবার দোল সেলিব্রেট করবে। পরের বছর একটু বড় হবে তখন গালে একটু আবির ছোঁয়ানো যাবে।'
শ্রীময়ীর সংযোজন, ' আমি নিজেও রং মেখে দোল খেলতে কোনওদিন পছন্দ করি না। আমার শুধু আবির ভাল লাগে। বাড়িতে যেহেতু রাধা গোবিন্দ আছেন তাই রংবে রঙের আবির কিনে আগে ওনাকে দেওয়া হয়। তারপর আমরা খেলি। গত বছর বিয়ের পরপরই দোল ছিল। খুব আনন্দ হয়েছিল। দোল পূর্ণিমায় আমাদের বাড়িতে সম্পূর্ণ নিরামিষ। পরের দিন মাংস ভাত খাওয়া হয়। গান-বাজনা, পার্টি হয়। কিন্তু, এবারে কাঞ্চনের শুটিংয়ের জন্য সেটা হবে না। রাতে শুধু মটন ভাতটা খাওয়া হবে।'
মেয়েবেলার রং খেলার দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছেন শ্রীময়ী। স্মৃতিচারণা করে বলেন, 'ছোটবেলায় খুব রং খেলতাম। বাড়ির নীচে একটা চৌবাচ্চা বানিয়ে তাতে রং গোলানো হত। সেখান থেকে বালতি করে জল তুলে ওয়াটার বেলুনে ভরতাম। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দিয়ে যাঁরা যেতেন তাঁদেরকে ছুঁড়ে দিতাম। কেউ চিৎকার করত, কেউ আবার লাঠি নিয়ে তেড়ে আসলে বলতাম আমরা কিছু করিনি। ওটাই ছিল আমাদের আনন্দ। কিন্তু, সেসব দিন এখন আর কই! এখন তো দোল খেলার সেই পরিবেশটাই পাই না। সঠিক সঙ্গী যদি না পওয়া যায় তাহলে রং খেলাটা মোটেই জমে না। আমি ছোট থেকে একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি। সকলের সঙ্গে হইহই করে রং খেলতাম। আর এখন তো সবই যেন ডিজিটাল। ফোনেই হোলির শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিচ্ছে। দেখা হলে হোল হ্যায় বলে একটু রং লাগিয়ে দিচ্ছে, ব্যাস হোলি শেষ।'