কাঞ্চন মল্লিকের পৈতৃক বাড়িতে একসময় কালীপুজো হত মহা জাঁকজমক করে। অভিনেতার বাবা-ই ছিলেন সেই পুজোর পুরোধা। তবে কালের নিয়মে তাতে ছেদ পড়েছিল। এবার বছর খানেক বাদে নিজের নাকতলার বাড়িতেই মায়ের আরাধনার আয়োজন করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক। আত্মীয়-স্বজনরাও সকলে আসবেন। ভোগও দেওয়া হবে মাকে। অতঃপর এলাহী ব্যাপার। আর কাঞ্চন মল্লিকের বাড়ির সেই কালীপুজোর সব দায়িত্ব শ্রীময়ী চট্টরাজের ওপর।
বছর খানেক আগে থেকেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর দারুণ বন্ধুত্ব। জুটিকে দেখা যায় ইতি-উতি। একাধিকবার অভিনেত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে কথাও শুনতে হয়েছে। কারণ 'প্রাক্তন' স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, শ্রীময়ীর জন্যই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছে। তবে তার জেরে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সম্পর্ক এক চুলও নষ্ট হয়নি। বরং ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে। আর সেই বান্ধবীর কাঁধেই এবার নিজের বাড়ির কালীপুজোর সিংহভাগ দায়িত্ব তুলে দিলেন কাঞ্চন মল্লিক। বান্ধবী যদিও অন্য কথা বলছেন।
<আরও পড়ুন: কালীপুজোয় জমিয়ে আড্ডা-বাজি পোড়ানো, আলোর উৎসবে কী প্ল্যান তারকা জুটিদের?>
শ্রীময়ীর মন্তব্য, "আমি নিজে থেকেই কাঞ্চনদার বাড়ির পুজোর দায়িত্ব নিয়েছি। আমি আগেই ঠিক করেছি যে, আলপনা দেওয়া এবং মাকে সাজানোটা আমিই করব। ওঁদের বাড়িতে কালীঘাটের মায়েরই প্রতিষ্ঠিত মূর্তি। পাড়া-প্রতিবেশীরা তো আমন্ত্রিত বটেই সঙ্গে কাঞ্চনদার মাসিরাও আসবেন।" মা-কে কী ভোগ দেওয়া হবে? সেকথাও জানালেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। আলুর দম, খিচুড়ি আর চাটনি।
নায়িকা আবার কাঞ্চনকে না জানিয়েছেই তাঁর বেশ কিছু বন্ধুবান্ধবদের নিমন্ত্রণ করে ফেলেছেন। তবে সোমবার সকাল থেকেই শ্রীময়ীর ব্যস্ততা তুঙ্গে। কারণ, নিজের বাড়ির কালীপুজোর আয়োজন সেরে সন্ধে ৬টার মধ্যেই ছুটতে হবে কাঞ্চনের বাড়ি। কারণ পুজোর কাজে হাত লাগাতে হবে। আর মা কালীর ভক্ত হিসেবে দিপাবলীর দিনটা তার কাছে খুবই স্পেশ্যাল। শাড়ি আর গয়নায় সনাতনী সাজেই সাজবেন। তবে কাঞ্চন মল্লিকের নাকতলার বাড়ির কালীপুজোয় কোনওভাবেই যুক্তই নন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।