Sreemoyee-Kanchan: ২০২৪ কাঞ্চন পত্নী শ্রীময়ীর জীবনে নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় বছর। একই বছরে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন আর কোলে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। ২০২৫- এ ও নতুন জীবনের স্বাদ একেবারে চেটেপুটে আস্বাদন করছেন টেলি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। নতুন বছরের শুরুতেই তারাপীঠে পুজো দিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে রয়েছেন 'পার্টনার' কাঞ্চন মল্লিকও।
তারাপীঠ হয়ে নলহাটেশ্বরী, কংকালীতলা, নন্দীকেশরীর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন দুজনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেছেন বিধায়ক পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজ। বিশেষ কোনও উদ্দেশে পুজো? উত্তর জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে শ্রীময়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, 'না না, বিশেষ কোনও কারন নয়। আমরা প্রত্যেক শীতে বোলপুর আসি। মায়ের কাছে পুজো দিই। বছরে একবার মায়ের কাছে পুজো দিতে আমি আসবই। গত বছর আসতে পারিনি। সেই সময় প্রেগন্যান্ট ছিলাম। যখন আসি তখন সব জায়গায় মায়ের কাছে পুজো দিয়ে ফিরি। অনেকদিন ধরেই বোলপুর আসার প্ল্যান করছিলাম। কাঞ্চনের এখানে শ্যুটিং চলছে। তাই আমি, ওঁর এক বন্ধু আর বন্ধুর স্ত্রী একসঙ্গে এসেছি। তারপর এখানে এসে আমরা সবাই পুজো দিলাম। তাছাড়া আজকের দিনটাও তো খুব ভাল। পৌষমাসের শেষ শনিবার। তাই পৌষ কালির পুজোটাও দিয়ে দিলাম। এবার আমি প্রথম নন্দীকেশরীর মন্দিরে গেলাম। কাল বাড়ি ফিরে যাব।'
মায়ের কাছে পুজো দিয়ে ভোগ খেয়েছেন যুগলে। সেই প্রসঙ্গে শ্রীময়ী বলেন, 'আমরা নিজেদের সাধ্যমতো তারাপীঠে মায়ের কাছে ভোগ দিয়েছি। প্রসাদটা এত ভাল খেতে...। সব রকমের খাবার থাকে। মাছ, মাংস থেকে পায়েস, মিষ্টি। পরিমানেও অনেকটা থাকে। নলহাটির যিনি বিধায়ক আছেন উনিও কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে ওখানের ভোগও আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। আসলে আমরা যখন পুজো দিয়েছি তখনও মায়ের কাছে ভোগ নিবেদন হয়নি। তাই হোটেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।'
মজার ঘটনা শেয়ার করে বলেন, 'আগেও আমরা প্রত্যেক বছর কৌশিকী অমাবস্যায় আসতাম। পুজো দিতাম। তখন তো আর একসঙ্গে ছবি দেওয়া হত না (হাসি)। এখন তাই অফিসিয়ালি দিলাম। এবছর কৌশিকী অমাবস্যাটা পাইনি।'
মায়ের কাছে মেয়ের জন্য বিশেষ প্রার্থনা? শ্রীময়ীর উত্তর, 'আমি মায়ের কাছে কিছু চাই না। মায়ের উপর আমার অগাধ ভরসা। উনি সব দেখছেন। যাকে যা দেওয়ার সেটা দিচ্ছেন। ২০২৪-এ এত সুন্দর উপহার দিলেন। আমার বিয়ে হল। ফুটফুটে সন্তান এল। আর কী চাই! আমি চাই মা ভাল থাকুক। মায়ের কাছে তো সকলেই কিছু না কিছু চায়। কিন্তু, মাকে ভাল থাকতে বলার লোক খুব কম। তাই আমি সেটা বলি।'