দুর্গাপুজো আর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কেমিস্ট্রি অনেকটা গরম চকোলেট ব্রাউনির উপর এক স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিম। যাকে বলে 'পারফেক্ট কম্বিনেশন'। এমনিতেই করোনার জেরে জীবনযাপন ওলটপালট। লকডাউনে বিদেশট্যুর ক্যানসেল করা গৃহবন্দী বঙ্গবাসীকে তাই দুর্গাপুজোতেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিয়ে যেতে চান পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
ভিসা লাগবে না ভ্রমণসঙ্গী মনকে নিয়েই চলে যেতে সুদূর মাসাইমারা, কিনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। সঙ্গী? কাকাবাবু! আসলে পুজো হল গিয়ে নস্টালজিয়া। প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি কাকাবাবুকে নিয়ে পুজোতেই ফিরছেন সৃজিত। তবে পথের কাঁটা করোনা-লকডাউন। জুলাই মাসেই করোনার বাড়বাড়ন্তে ছবি মুক্তি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে পরিচালক-প্রযোজকের।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত কোয়েল মল্লিক-সহ পরিবার
শুটিং শুরু অনুমতি মিললেও করোনা পরিস্থিতিতে এখন বন্ধ মাল্টিপ্লেক্স-সিনেমাহলের দরজা। পুজো অবধি কোভিড দাপট গড়ালে কীভাবে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের' সফরসঙ্গী হবেন সিনেমাপ্রেমীরা? তবে কি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে পারে এই ছবি? পরিচালকের অবশ্য মত, বড়পর্দাকে মাথায় রেখেই ছবির শুট করা হয়েছে। ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ বড়ো মাপের ছবি। বাজেটও অনেক। পুজোর সময় ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সাহসী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন তিনি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রিলিজে তেমন সায় নেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাকাবাবু মুক্তির কথা কখনওই ভাবেননি। বরং তিনি যা চান তা হল কাকাবাবুর হাত ধরেই সকলকে স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরিয়ে আনতে। সৃজিত জানান, লকডাউনে সকলে অনেকদিন থেকে বাড়িতে বন্দি। তারপর বাড়ির বাইরে বেরোনোই একটা ইমোশানাল ব্যাপার। মানুষকে নর্মালসিতে ফেরার আনন্দ দেবে কাকাবাবু। সেটাও জুড়ে যাবে ছবির সঙ্গে।
আরও পড়ুন, এসওএস কলকাতা! নুসরত-মিমি-যশের হাত ধরেই ছবির শুটিং শুরু
প্রসঙ্গত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এবারের কাকাবাবু সিরিজ। 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনে' সবচেয়ে খুশি 'কাকাবাবু' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”ভীষণ ভাল লাগছে। ছোটরা কাকাবাবুর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। অত্যন্ত আনন্দের মূহুর্ত যে দু’বছর পরে কাকাবাবু ও সন্তু পুজোয় ফিরছে”। ‘একেন বাবুর’ খ্যাত অর্নিবাণ ভট্টাচার্যও অভিনয় করছেন ছবিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন