চেনা মুখ। চেনা টিম। সেই চারমিনারের আমেজে চেনা গোয়েন্দাগিরি। তবে এবার খালি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বদল। এর আগে আড্ডা টাইমস-এর জন্য ফেলুদা সিরিজ বানিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। তবে এবার হইচই-এ 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' নিয়ে ফিরছেন পরিচালক। সেই প্রেক্ষিতেই ফেলুদার ভূমিকায় হ্যাট্রিক করা টোটা রায়চৌধুরিকে (Tota Roy Chowdhury) নিয়ে রসিকতা করার সুযোগ ছাড়লেন না সৃজিত। বললেন, 'টোটার নাকি ফেলুদা লগ্নে জন্ম'।
সোমবার শহরের পাঁচতারা হোটেলে গোটা টিম নিয়ে নয়া ফেলুদা সিরিজের ঘোষণা করে ফেললেন সৃজিত। সেখানেই রসিকতার পাশাপাশি টোটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিচালক। পুরোদস্তুর ফেলুদা হওয়ার নাকি ১৫ কলা পূর্ণ ছিল অভিনেতার এযাবৎকাল। তবে এবার একেবারে ষোলো কলা পূর্ণ! কারণটা কী? স্বাস্থ্য সচেতন টোটা আদতে ধূমপানের তীব্র বিরোধী। তবে ফেলু মিত্তিরের মতো মগজাস্ত্রে শাণ দেওয়ার জন্য এবার টোটা চারমিনারে মজেছেন। শুধু তাই নয়। তিনি নাকি রীতিমতো 'চেইনস্মোকার' হয়ে গিয়েছেন। এখন অনায়াসেই একটা নিভন্ত সিগারেট থেকে আরেকটা ধরিয়ে লম্বা লম্বা ধোঁয়া ছাড়তে পারেন।
<আরও পড়ুন: বাচ্চাকে ‘হাবজি গাবজি’ অনলাইন গেম শেখাচ্ছেন রাজ! রেগে আগুন শুভশ্রী, দেখুন>
সৃজিতের নির্দেশ ছিল ফেলুদা চরিত্র আত্মস্থ করার জন্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চোখের ভাষা আর সব্যবসাচী চক্রবর্তীর বাচনভঙ্গী অনুসরণ করার। তা বাধ্য ছাত্রের মতোই রপ্ত করে ফেলেছেন টোটা রায় চৌধুরি। শারীরিক কসরতও কম করতে হয়নি। সিরিজে বেশ কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স রয়েছে, সেগুলো টোটাকে ছাড়া হত না বলেই মত সৃজিতের। পরিচালক জানালেন, গোড়া থেকেই নাকি ফেলুদার চরিত্রের জন্য তাঁর টোটা রায়চৌধুরিকেই পছন্দ ছিল। তাও সেটা ২০০৭ সালের কথা। শেষমেশ আড্ডা টাইমস-এর হাত ধরে সৃজিতের সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তবে এবার তিনি হইচই-এর জন্য 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' তৈরি করছেন। যা আগামী জুন মাসেই দেখা যাবে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে।
অন্যদিকে, জটায়ুর চরিত্রে অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty) ও তোপসের ভূমিকায় কল্পন মিত্র-ই রয়েছেন। সেখানে বদল ঘটেনি। এদিনের অনুষ্ঠানে জটায়ু-তোপসেও উপস্থিত ছিলেন ফেলুদার সঙ্গে।
তবে শুধু যে পরিচালক অভিনেতার প্রশংসা করেছেন এমনটা নয়। বরং টোটাও সৃজিতের প্রশংসা করে তাঁকে 'পারফেকশনিস্ট' আখ্যা দিয়েছেন। অভিনেতার কথায়, সৃজিত সেটে 'ফেলুদা সমগ্র' নিয়ে ঘুরতেন। সেটাই নাকি তাঁর বাইবেল ছিল। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ রায়ের লেখা কোনও শব্দ পাল্টানো যাবে না বলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন