দিন তিনেক আগেই SSC কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমার রায়। যিনি কিনা সম্পর্কে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাগ্নি-জামাই বলেও পরিচিত। টালির চালের ঘর থেকে কীভাবে রকেট গতিতে উত্থান! ফিল্মের চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃত প্রসন্নকুমার রায় চাকরি ‘বিক্রি’ চক্রের ‘মিডলম্যান’ হিসেবে কাজ করতেন। এবার সেই ব্যক্তি সম্পর্কেই মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য! টলিউডের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে এই 'মিডলম্যান'-এর।
রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে ভয়ঙ্কর আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত প্রসন্ন দুটি বাংলা সিনেমাতেও টাকা ঢেলেছেন। ফিল্মি দুনিয়ায় তিনি অবশ্য প্রসন্ন নামে নন, রাকেশ নামেই পরিচিত। সাদামাটা ভদ্র লোক। নিজের স্ট্রাগলের গল্প শোনাতেন সেটে এসেই। হোটেলের ব্যবসাও ছিল তাঁর। বছর তিনেক আগে উত্তরবঙ্গের মেটেলিতে দুটো চা বাগান কেনেন বলেও খবর। তাই সিনেমাতে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রযোজনার ক্ষেত্রে কারও মনে কখনও প্রশ্নও জাগেনি।
<আরও পড়ুন: ‘শাকিবের ৩০ লক্ষ হাতিয়েছেন জয়জিৎ-ঘনিষ্ঠ’! বোমা ফাটালেন টলি-প্রযোজক রানা সরকার>
'ফিল্মস বি আইডিয়াল' নামে এক প্রযোজনা সংস্থা চালাতেন প্রসন্নকুমার রায়। সল্টলেকের এফ-ই ব্লকে অফিস। সেই ব্যানারেই ২টি সিনেমা বানান। প্রথমটি 'এক্সপোর্ট'। যার অন্যটি 'জেনানা'। সে সিনেমার পরিচালক বর্ষালি চট্টোপাধ্যায় রীতিমতো 'মিডলম্যান'-এর কাহিনি শুনে হতবাক। বর্ষালি সম্প্রতি পায়েল সরকার অভিনীত 'কুলপি' সিনেমার পরিচালনাও করেছেন। পরিচালক জানান, প্রসন্ন বিপুল সম্পত্তির মালিক, সেটা আগেই বুঝেছিলেন। কিন্তু কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, সেটা মনে হয়নি।
পাশাপাশি বর্ষালি এও জানান যে, ৬৮ লক্ষ টাকা দিয়ে 'জেনানা' ছবিটি তৈরি হয়। স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা তৈরি করেছিলেন তিনি। মধ্যবিত্ত আবাসনের বাসিন্দা হয়েও স্ট্রাগল করেই রোজগার করা টাকাই সিনেমায় ঢালছেন বলে জানাতেন প্রসন্ন। ২০১৫ সাল নাগাদ সুন্দরবনের এক রিসর্ট খোলেন। সেখানে বর্ষালি-সহ গোটা সিনেমার টিম নিয়ে পিকনিক করার আয়োজনও করে দিয়েছিলেন তিনি। SSC কেলেঙ্কারিতে ধৃত পার্থ ঘনিষ্ঠ এই 'মিডলম্যান'কে কিছুতেই প্রযোজক রাকেশের সঙ্গে মেলাতে পারছেন না পরিচালক বর্ষালি চট্টোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন