SSC দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। কোনও রাজনৈতিক রং কিংবা দলের হয়ে নয়, বরং এরাজ্যের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের হয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) এবং জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এদিকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ধুঁকতে হচ্ছে বাংলার চাকরীপ্রার্থীদের, সেই প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ টলিপাড়ার দুই অভিনেতা।
রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী শিবিরের তুলকালামের মাঝে দিনরাত অনশন চালিয়ে, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাঁরা এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, সেই মূল কাণ্ডারিরাই ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন না তো? এই বিষয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন ঋদ্ধি সেন।
SSC কাণ্ডে রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সম্প্রতি বঙ্গসম্মান পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তৃণমূলকে বিঁধেছিলেন শ্রীলেখা-অনীকরা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতার মন্তব্য, "একদিকে চলতে থাকুক বঙ্গভূষণ, বঙ্গবিভূষণ আর মহানায়ক সম্মান। অন্যদিকে আরও ২০ কোটি উদ্ধার আরেকটা ফ্ল্যাটে। আবিস্কার হবে আরও। বাড়বে আরও কিছু শূন্য। শুধু এর মাঝখানে রাস্তায় দিনরাত এক করে ন্যায্য দাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আরও দুটো শুন্যে যোগ হল ৫-এর সাথে। তাদের, যারা সৎভাবে স্বপ্ন দেখেছিল। ছিঃ! মিম আর সার্কাস্টিক ইমোজির ভিড়ে আমরা যেন হারিয়ে না যাই। এই ঘটনা কোনও হাসির বিষয় না।"
<আরও পড়ুন: বেকারত্বের সমস্যায় জ্বলছে বাংলা! নচিকেতা বললেন ‘আজকের শর্টকাট’-এর গল্প>
অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে এমন ভয়ঙ্কর দুর্নীতি নিয়ে পর্দার মাণিক তথা 'অপরাজিত' অভিনেতা জিতুর মন্তব্য, "টাকা তো বুঝলাম বাজেয়াপ্ত হল। যাদের টাকা তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না? নাকি,এও সারদার স্ট্র্যাটেজি? ঘুষ নেওয়া, ঘুষ দেওয়া দুটোই 'বাপ'।"
<আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে আরও ২৭ কোটি! সিনেমা-সিরিয়াল করেই এত? মুখ খুললেন অর্পিতার মা>
রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে এমন দুর্নীতির দায়ে আমজনতার পাশাপাশি বেজায় চটেছেন টলিপাড়ার একাংশও। চাকরির আবেদন জানিয়ে ৫০০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হলেও এই মানুষগুলোর হাল কি ফিরেছে? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বুধবার বাম শিবিরও রাজ্যের বেকারদের হয়ে পথে নেমেছিল। এবার সেই চাকরিপ্রার্থীদের কথাই আবারও মনে করিয়ে দিলেন ঋদ্ধি, জিতুরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন