Sampurna Mondal in Durga Durgeshwari: স্টার জলসা-র নতুন ধারাবাহিক 'দুর্গা দুর্গেশ্বরী', সম্পূর্ণা মণ্ডলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে সম্পূর্ণাকে 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি'-তে জগদম্বার চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। ক্লাস নাইনের ছাত্রী সম্পূ্র্ণা পড়াশোনা আর অভিনয়কে সমান তালে সামলে চলেছে। শুটিংয়ের ফাঁকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ধরা পড়ল, খুবই নম্র ও মিষ্টি স্বভাবের এই কিশোরী অভিনেত্রী-- টেলিপর্দার খুদে নায়িকা।
এত বড় একটা চরিত্র, ভয় করছে কি একটু?
হ্যাঁ একটু একটু ভয় করছে কারণ এর আগের দুর্গাটা খুবই পপুলার ছিল। কিন্তু ভয় করছে আবার ভয়টা কেটেও যাচ্ছে কারণ আমাদের ডিরেক্টর অনুপ আঙ্কল, আমাকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। সিন করার সময় দেখিয়ে দিচ্ছে, আমাকে খুব সাহস দিচ্ছে। বলছে, তুই পারবি... এই তো ভালো হচ্ছে... এরকম ভাবে হয়ে যাচ্ছে ঠিক ঠাক।
আরও পড়ুন: শাশুড়ি বউমাকে নয়, বউমা বরণ করবে শ্বশুরবাড়িকে, আসছে ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’
তোমাকে টেলিভিশনে কাজ করার কথা প্রথম কে বলেন?
কেউ বলেনি। আমি ছোট থেকেই সিরিয়াল দেখি খুব। সিনেমা দেখতাম, ডান্স শো দেখে নিজে নিজে প্র্যাকটিস করতাম। সিরিয়ালের ডায়ালগ বলতাম নিজে নিজে। মা-বাবা ভাবল যে হয়তো অ্যাক্টিংটা ভালো করতে পারবে। আমি আগে ডান্স করতাম। সবাই বলতো যে বাহ, ডান্সে তো ভালো এক্সপ্রেশন দেয়। আমিও মাকে বলেছিলাম যে মা আমি অ্যাক্টিং করব। মা বলল যে ঠিক আছে... ওরম ভাবেই হয়ে গেল। ভেঙ্কটেশেই প্রথম প্রজেক্ট করেছিলাম 'মা দুর্গা'। তার পরে 'গোয়েন্দা গিন্নি'... পর পর ভেঙ্কটেশেই করলাম... আবার এখন এটাতে।
সাহানা আন্টিকে (চিত্রনাট্যকার ও ক্রিয়েটিভ হেড সাহানা দত্ত) ভয় লাগে কি?
আমি যখন প্রথম দেখেছিলাম, তখন খুবই ভয় লেগেছিল। ভাবতাম বাবা আমি কী করব, খুবই নার্ভাস হয়ে পড়তাম। কিন্তু সাহানা আন্টি কথা বলে যখন খুবই হাসিখুশি, ভয়টা কেটে যায়। আবার দেখলেই ভয় লাগে... আবার কথা বললেই ঠিক হয়ে যায়।
সিরিয়ালের শুটিংয়ের সঙ্গে স্কুলটা ম্যানেজ করো কীভাবে?
আমার তো মর্নিং স্কুল তাই অসুবিধা হয় না।
সকালে কখন ওঠো? একটু তোমার প্রতিদিনের রুটিনটা বলো। ধরো যেদিন স্কুল আর শুটিং দুটোই রয়েছে।
স্কুল থাকলে উঠি ভোর পাঁচটায়। স্কুল থেকে এসে ফ্রেশ-টেশ হয়ে চলে আসি শুটিংয়ে।
তার পরে বাড়ি ফেরো কখন?
এখন তো ১৪ ঘণ্টা কাজ হয়। সকাল আটটায় যদি ইউনিট কল থাকে তাহলে রাত দশটায় প্যাক আপ হয়ে যায়। লেট কল থাকলে লেট নাইট হয়। তখন গ্যাপ পেলে ঘুমিয়ে পড়ি। আর এখানে যখন হোল নাইট শুটিং হয়, আমার খুব ভালো লাগে। আমি রাত জাগতে ভালোবাসি। যখনই নাইট হবে জানতে পারি, জিজ্ঞেস করি, কত নাইট হবে, কত নাইট হবে? সকালের থেকেও নাইটে কাজ করতে আমার বেশি ভালো লাগে। হোল নাইট শুটিং থাকলে মেকআপ রুমে অনেক আড্ডা হয়, গান হয়। আবার ধরো সবাই একটু স্লো গান চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল লাইট-ফাইট অফ করে, বেশ মজা হয়।
আরও পড়ুন: ভালোবাসাতে না পারলে কোনও চরিত্রই ক্লিক করবে না: সাহানা
নায়কের সঙ্গে ভালো করে বন্ধুত্ব হয়েছে কি?
নায়কের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল। নায়ক খুব ক্ষ্যাপায়, বাজে। আমি তো খুব ছোট, কী করব বলো আমি তো ছোটই... আমাকে এত ক্ষ্যাপায়! দেখো ঠিক ওখান থেকে শুনে নিয়েছে...(সাক্ষাৎকারের ঠিক এই সময়ে পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন নায়ক বিশ্বরূপ)
তোমাকে যে এত কিছু বলে, তুমি নায়ককে জব্দ করতে পারো না?
আমি কী করব বলো? আমি ওখান থেকে চলে যাই... এখনও অবধি কিছু বলিনি। একসঙ্গে এই প্রথম কাজ কিন্তু পরিচয় আগেই হয়েছে। দাঁড়াও, একসঙ্গে সিন করি, তখন জব্দ করব!