দূরদর্শন যেমন ফিরিয়ে আনছে পুরনো ক্লাসিক ধারাবাহিকগুলি, তেমনই প্রাইভেট চ্যানেলগুলিও ফিরিয়ে আনছে তাদের পুরনো ধারাবাহিক। স্টার জলসা-য় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে 'বোঝেনা সে বোঝেনা' ও 'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে'-র সম্প্রচার। এর পর ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে 'মহাভারত'।
একাধিকবার মহাভারত তৈরি হয়েছে জাতীয় টেলিভিশনে। এই 'মহাভারত'-এ কৃষ্ণের ভূমিকায় ছিলেন সৌরভ জৈন ও দ্রৌপদীর ভূমিকায় ছিলেন পূজা শর্মা। ২০১৩-র মাঝামাঝি থেকে ২০১৪-- মোটামুটি এক বছর চলেছিল এই ধারাবাহিক।
আরও পড়ুন: লকডাউনে মুক্তি পাবে বাংলা ছবি ‘বিসর্গ’, দেখা যাবে অনলাইন
হিন্দি টেলিভিশনের বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ ছিলেন সত্যবতীর ভূমিকায় এবং জনপ্রিয় নায়ক শাহির শেখ ছিলেন অর্জুনের ভূমিকায়। এই ধারাবাহিক থেকেই শাহিরের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে যায়। নতুন প্রজন্মের দর্শক এখনও অর্জুন বলতে কিন্তু শাহিরের কথাই মনে করে।
অর্জুনের ভূমিকায় শাহির শেখ।
স্টার প্লাস-এ সম্প্রচার হওয়া সেই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি আবারও দেখা যাবে স্টার জলসা-য়। আবারও বলা হচ্ছে এই কারণে যে সাত বছর আগে স্টার প্লাস-এর পাশাপাশি স্টার জলসা-তেও সম্প্রচার হতো এই ধারাবাহিকের। বাংলার দর্শকের অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই ধারাবাহিক তাই লকডাউনের সময় ধারাবাহিকটি আবারও ফিরিয়ে আনছে চ্যানেল।
স্টার প্লাস-এর এই 'মহাভারত'-এ, গল্পটি বলা হয়েছে কৃষ্ণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। দূরদর্শনের 'মহাভারত'-এ যেমন গল্পটা বলেছিল সময়, তেমনই এই 'মহাভারত'-এ গল্পটি বলছে কৃষ্ণ। আর যাঁদের এই মহাকাব্যটি সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা আছে, তাঁরা জানেন যে এই কুরু-পাণ্ডবের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং শেষে ধর্মযুদ্ধ-- এর সবটাই কিন্তু ঘটেছিল কৃষ্ণের ইচ্ছায়। ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় প্রতিষ্ঠার কারণেই যে এই মহা-আয়োজন সেই কথা কে না জানে।
সপ্তাহে পাঁচদিন অর্থাৎ সোম থেকে শুক্র রাত ৯টার স্লটে দেখা যাবে এই ধারাবাহিক। সম্প্রচার শুরু হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩০ মার্চ থেকে।