New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/stree-movie-review.jpg)
যদি ভালবাসা সবকিছু জিতিয়ে দেয় তাহলে সেখানে 'স্ত্রী'ই রক্ষাকর্ত্রী।
Stree movie review: ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের চরিত্র বেশ হাসির উদ্রেক করে, কিন্তু রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে দৃশ্যগুলোতে আর একটু কাজ করতে পারতেন অভিনেত্রী।
যদি ভালবাসা সবকিছু জিতিয়ে দেয় তাহলে সেখানে 'স্ত্রী'ই রক্ষাকর্ত্রী।
Stee movie cast: রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, অপারশক্তি খুরানা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পঙ্কজ ত্রিপাঠি ও বিজয় রাজ।
Stree movie director: অমর কৌশিক
Stree movie rating: ২.৫/৫
একজন প্রাপ্তবয়স্ক, অভিলাষী মহিলা মানবজাতির কাছে ভয়ের, বিশেষ করে যখন সে পুরুষের ওপর 'জোর' খাটায়। বিকৃত বিশ্বাসের জন্য যুগ যুগ ধরে মেয়েরা নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার শিকার। আহ! সেই যৌন ইচ্ছা, জোর, ভয়, পুড়িয়ে দেওয়া, এই সবকিছু যেন সমাজকে ফিরিয়ে দিল স্ত্রীয়ের চিত্রনাট্য। তাও কমেডির আঙ্গিকে। রাজ ও ডিকের লেখা এই হরর কমেডি যে বিষাক্ত সে ধারনা হবে ছবিটা দেখেই। স্ত্রীর চিত্রনাট্য বিস্ফোরক, আপনি অন্ধকারের মধ্যেই বাঁকা চোখের হাসি দেখতে পাবেন। তবে ছবির মেকিং আপনাকে ধন্দে ফেলতে পারে। ছবি কি মেসেজ দিতে চেয়েছে তাই নিয়েও প্রশ্ন জাগতে পারে মনে।
মধ্যপ্রদেশের (প্যাডম্যানের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশ বলিউডের ম্যাপে) চান্দেরি নামের একটি ছোট শহরে থাকে ভিকি (রাজকুমার রাও)। প্রখর নজর ও বড় হৃদয়ের মানুষ বলেই তার পরিচিতি। সেই ভিকি স্মার্ট, সুন্দরী ও রহস্যময়ী এক মেয়ের প্রেমে পড়া থেকে বাঁচতে পারেনি। যখনই সে আসতে বলে ভিকি পেছন পেছন হাজির, শহরে স্ত্রীয়ের ভয় থাকা সত্ত্বেও, যে কিনা একা ছেলেদের ওপর হামলা করে, তবুও ভিকি যায়। সেই মেয়ে পেত্নী কিনা সেটা তো ছবিই বলবে। ছবিতে শহরের কিছু মাতব্বরের জন্য দর্শক মজাও পাবেন বেশ। ছবিতে উলটো পায়ে হাঁটা, চুল খোলা থাকলে ভূত ধরে এই কুসংস্কারের সামনাসামনি পড়তে হবে দর্শককে। কিন্তু এই ছবি যদি এই সমস্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে চায় তাহলে সেই মেসেজটাই একটু জোর দিয়ে বলতে হত।
স্ত্রী ছবিতে রাজকুমার রাও ও শ্রদ্ধা কাপুর
স্ত্রী অনেক জায়গাতেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। ঠিক করে উঠতে পারেনি চাপা হাসির তলায় সারকাজম বোঝাবে না ঠিক দেখাবে কোন চারটে উপায়ে পেত্নীকে নিস্তেজ করা যায়, তাও আবার স্ত্রী-বিদ্বেষী মোডে। কিন্তু তবুও, স্ত্রী ছবিটার বেশিরভাগটাই উপভোগ্য। বিশেষত, এই খরগোশের মতো উদ্দীপনাটা বেশ। পরিচালক উত্তেজনা ধরে রাখতে সমর্থ।
ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের চরিত্র বেশ হাসি উদ্রেক করে, কিন্তু রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে দৃশ্যগুলোতে আর একটু কাজ করতে পারতেন অভিনেত্রী। রাজকুমার রাওয়ের ভিকি চরিত্রটা অনেকটা 'বরেলী কি বরফি'র মতোই, তাই অসুবিধে হয়নি। ছবিতে তিনজনকে রিয়েল লাইফের বন্ধুর মতো লেগেছে পর্দায়। কাস্টিং ডিরেক্টরের জন্য খুরানা, অপারশক্তি ও অভিষেককে একসঙ্গে বোকা ও ভয় পাওয়ানোর মতো লেগেছে। অনবদ্য অভিনয় দক্ষতাও মুগ্ধ করবে দর্শককে। আর টেলরের ভূমিকায় রাজকুমার রাও আপনার মুখ থেকে ভাল শব্দটা বের করেই দম ফেলবে।
আরও পড়ুন, মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর কি নিজেদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন?
যেকোনও ছবিতে যখন দেখা যায় কোনও মহিলা রাত্রে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন অথচ পুরুষরা ঘরে রয়েছেন নিজেদের সুরক্ষার জন্য, সেই ছবির জন্য হাততালি তো পড়বেই। হ্যাঁ! এই ছবি আপনাকে হাসাবেই কিন্তু তার সঙ্গে ভাবাবেও। যদি ভালবাসা সবকিছু জিতিয়ে দেয় তাহলে সেখানে 'স্ত্রী'ই রক্ষাকর্ত্রী। মেয়েরা সমাজে উপরে? হ্যাঁ মশাই! এটা এবার মেনে নিন।