Suchitra Sen Movies: সুচিত্রা সেন, তাঁকে ভারতীয় ছবির অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তিনি, দেখিয়েছেন স্পর্ধা। তিনি সিলভার স্ক্রিনে তাঁর অভিনয় দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন আপামর বাঙালি তথা ভারতবাসীকে। সুচিত্রা মানেই সেই মলিন হাসি, সুচিত্রা মানেই সেই দৃঢ় দৃষ্টি। এবং সুচিত্রা মানেই উত্তমের সঙ্গে দারুণ এক কেমিস্ট্রি। আর আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ফিরে দেখা যাক, এমন কিছু ছবি, যেগুলি আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
সুচিত্রা উত্তম জুটি তখন মাইলস্টোন সৃষ্টি করেছে। একের পর এক কালজয়ী ছবি। আর রমা ছিলেন অরুণের ভীষণ ভাল বন্ধু। দুজনের রসায়ন থেকে শুরু করে সংলাপ বলার ধরণ - তাঁদের দুজনের এমন কিছু ছবি রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে অনেকেই জানেন। আবার কেউ কেউ যদি সাজেশন দিতে চান, তবে দিতে পারেন।
সপ্তপদী: এই ছবি কালজয়ী সিনেমা। উত্তম সুচিত্রার জীবনের অন্যতম ছবি এটি। কৃষ্ণেন্দু এবং রীনা ব্রাউনের প্রেম এবং বন্ধুত্বের গল্প বলে এই ছবি। অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান প্রেক্ষাপটে এই ছবি নির্মিত। দুজনেই মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্ট এবং সেই থেকেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। পরিচালক অজয় কর।
সাগরিকা: অরুণ এবং শিপ্রার গল্প এই ছবি। অরুণ যে তাঁর বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে যায় ইংল্যান্ডে, এবং ফিরে এসে তাঁর জায়গা হয় শিপ্রার বাড়িতে। সেই থেকেই প্রেম এবং গল্প। পরিচালনায় অগ্রদূত।
আরও পড়ুন - Rituparna Sengupta on Mahanayika: শুটিং ফ্লোরের পোশাক পরেই আমার মাসির বিয়েতে এসেছিলেন মহানায়িকাঃ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
চাওয়া পাওয়া: আরেক ক্লাসিক ছবির তালিকায় চাওয়াপাওয়া না রাখলেই নয়। রজত, যে তাঁর বাবার নিউজ পেপারে চাকরি করে, তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বাড়ি থেকে পালানো মজনুর। সেখান থেকেই প্রেম এবং নানা কান্ডকীর্তি। পরিচালক তরুণ মজুমদার, দিলীপ মুখার্জি এবং শচীন মুখার্জি।
ইন্দ্রানী: ইন্দ্রানী মূখুজ্জে যিনি গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান, তিনি কলকাতায় হোস্টেলে থাকেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হয় সুদর্শন দত্তর। তাঁদের প্রেম এবং সেই থেকে পরিণয়, কিন্তু ইন্দ্রানীর বাবা একেবারেই এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি, একে তো ছেলে অব্রাহ্মণ এবং বেকার। তারপর শুরু হয় জীবনের নানা খেলা। ছবির পরিচালক নিরেন লাহিড়ী।
সবার উপরে: শঙ্কর এবং রিতা দুজনের এই গল্প বিচারের। প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় ( ছবি বিশ্বাস ) তিনি আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার প্রায় ১২ বছর পর তাঁর ছেলে শঙ্কর ( উত্তম ) কৃষ্ণনগরে বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আসে। তারপরই তাঁর পরিচয় হয় রিতার সঙ্গে। সেখানে সে জানতে পারে আরও নানা প্রসঙ্গে।