বিমানবন্দরে নিগ্রহের শিকার অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী সুধা চন্দ্রণ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাঁর নকল পা খুলতে বাধ্য করেছিলেন, তবে পুরো বিষয়টাই এয়ারপোর্টের নিয়মানুসারে ঘটেছিল। স্বাভাবিকভাবেই এতে শিল্পীর মান ক্ষুণ্ণ হয়। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বারস্থ হন। এই ঘটনা অবশ্য চাউর হতেই সিআইএসএফ-এর তরফ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় সুধা চন্দ্রণের কাছে।
৫৬ বছর বয়সি অভিনেত্রী মোদীকে জানান, যাঁরা প্রস্থেটিক কিংবা নকল পা নিয়ে হাঁটাচলা করেন, বিমানবন্দরের সিকিউরিটি চেকের সময় তাঁদের অত্যন্ত অসুবিধেয় পড়তে হয়। বিশেষ করে যখন সেই পা খুলে যাচাই করে নেওয়া হয় যে তার ভিতরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া কোনও বস্তু বা জিনিস পাচার করা হচ্ছে কিনা! স্বাভাবিকভাবেই আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো সুধা চন্দ্রণকেও বিমানবন্দরে গিয়ে প্রত্যেকবার এই একই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর সবসময়েই বিদেশে কিংবা দেশের বিভিন্ন স্থানে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে বিমানসফরের আগে এহেন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া অর্থাৎ নকল পা খুলে দেখানো ভীষণই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাশাপাশি মোদীকে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন, তিনি বিমানবন্দরে নিরাপত্তরক্ষীদের বারবার অনুরোধ করেছিলেন যে, তাঁরা যেন এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টর দিয়ে চেক করে নেন, যাতে নকল পা পুরোপুরি খুলতে না হয়। কিন্তু এতবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা সেই অনুরোধ রাখেননি কোনওবারই। প্রত্যেকবার বিমানসফরের আগে তাঁকে একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
<আরও পড়ুন: আরিয়ান খানকে মাদক জোগানোর আশ্বাস! অনন্যা পাণ্ডের বিস্ফোরক চ্যাট NCB’র হাতে>
"শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির কাছে এটি একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত আবেদন, আমি সুধা চন্দ্রন, একজন অভিনেত্রী এবং পেশায় নৃত্যশিল্পী, কৃত্রিম পা নিয়েই নৃত্যশৈলী পরিবেশেন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি এবং আমার দেশকে গর্বিত করেছি। কিন্তু তৎসত্ত্বেও বারবার পেশাগত কারণে বাইরে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে আমার কৃত্রিম পা খুলে দেখাতে হয়। এটা কি আদৌ মানবিক? এটাই কি আমাদর দেশ? আমাদের সমাজে একজন নারীর কাছ থেকে অন্য নারীর কি এই সম্মান প্রাপ্য?", প্রশ্ন তুলেছেন সুধা চন্দ্রণ।
এরপরই অভিনেত্রী মোদির কাছে একটি বিশেষ কার্ডের বন্দোবস্ত করার অনুরোধ করেছেন তাঁদের জন্য, যাঁদেরকে কিনা তাঁর মতোই বিমানসফরে যাওয়ার আগে প্রতিবার সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন