বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। পান থেকে চুন খসলেই নেটিজেনরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলেন না। দিন কয়েক আগেই ডেলিভারি বয়-দের নিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করে জোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এবারও তার অন্যথা হল না। অসুস্থ শরীরে স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে ছবি দিয়েছিলেন, সেখানেই উপচে পড়ল একের পর এক কটুক্তি। যার জেরে বেজায় বিরক্ত সুদীপা।
Advertisment
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার এক নামজাদা ক্যাফেতে খেতে যান সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। পুজোর পর থেকেই অভিনেত্রীর শরীরটা ভাল নেই। কাছের মানুষকে ভাল রাখার জন্য সকলেই যে যাঁর নিজের মতো করে উপায় বের করেন। তেমনই সুদীপার শরীর খারাপ থাকায় স্বামী অগ্নিদেব তাঁর মন ভাল করতে বাইরে খেতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তই ফ্রেমবন্দি করে ফেসবুকে দেন সঞ্চালিকা। তাতেই ট্রোলের বন্যা।
কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই দেখা যাবে একের পর এক কটাক্ষবাণ ধেয়ে এসেছে সুদীপার দিকে। কারও মন্তব্য, 'বুড়ো বয়সে ভিমরতি।' আবার কেউ ডেলিভারি বয় প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, 'রেস্তরাঁর দরজাটা কে খুলে দিল?' কেউ বলছেন, 'আমিও ওই রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছি, কিন্তু ছবি দিইনি।' চূড়ান্ত ট্রোলিংয়ের শিকার হয়ে শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হন সঞ্চালিকা-অভিনেত্রী।
সুদীপার মন্তব্য, "এক লোকে এত কিছু লিখলেন, কেউ কিন্তু একবারও জিজ্ঞেস করলেন না, সুদীপা কি হয়েছে তোমার? অসুস্থ কেন?” এর থেকে বোঝা গেল যে, আমি মরে গেলেও আপনারা আমার চিতায় ফুলের মালা গুনবেন। তাতে খুঁত ধরবেন। বানান ভুল ধরবেন। আমাকে দেখবেন না, তাই তো? কি নিষ্ঠুর!" এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি।
সমালোচকদের উদ্দেশে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এও বলেন যে, "ওরা জানে না যে ওরা কি করছে। এসব দেখলে আমার রাগ কিংবা বিরক্ত লাগে না। মন খারাপ হয়। রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগরের মতো মহাপুরুষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কুমন্তব্য করতে ছাড়েন না যারা, তো আমি কে? এদের কাছে আমার কষ্ট হয়। ওরা আমাকে অপমান করতেই চাই, তাই আমিও উত্তর দিয়ে বুঝিয়ে দিই আমি কতটা অপমানিত হয়েছি।"