/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sudipa-2025-09-15-16-22-13.jpg)
যা যা বললেন সুদীপা...
Sudipa Chatterjee: চারপেয়ে অবলা প্রাণী বলে কি তাদের প্রাণের কোন দাম নেই? নাকি তাদের সুরক্ষার জন্য কেউ পাশে দাঁড়াবে না? অভিনেত্রী সুদিপা চট্টোপাধ্যায় গতকাল রাতে যে নরক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন, এবং তার সমাজ মাধ্যমের দৌলতে নরক দর্শন করিয়েছেন তার দর্শকদের, তাতে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগার। টালিগঞ্জের চন্ডী ঘোষ রোড, এলাকার একটি বাড়ি। যেখানে সারমেয়েদের এবং বিড়ালদের, আগলে রাখার ও দেখভাল করানোর নামে অকথ্য অত্যাচার করা হয়, নিজের আদরের বিড়ালকে সেখানেই হারালেন তিনি।
অভিনেত্রী অভিযোগ করেন তার পার্সিয়ান ক্যাটকে, সেখানেই মেরে বাড়ির পেছনে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সেই বাড়িটিতে যে বিশ্রী গন্ধ এবং কুৎসিত পরিস্থিতি, তাতেই যেন আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা সুদিপার। অভিনেত্রীর সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা যোগাযোগ করলে তিনি কী জানালেন? অভিনেত্রীর কথায়, জায়গাটির নাম মৌস প'স টেইল। গতকাল আমরা যখন সেখানে ছিলাম, সত্যি কথা বলতে গেলে কি, ওখানে পাঁচ মিনিট ঠিক করে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। বিশ্রী গন্ধ সেরকম অত্যন্ত কুৎসিত পরিবেশ। এলাকার মানুষ ওদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। কেউ যদি ঐ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন, অসীম ক্ষমতা তাঁর।
পুলিশের হস্তক্ষেপ...
অভিনেত্রী সোজাসাপ্টা জানালেন, পুরুষ মানুষ তো সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। সেই বাড়ি থেকে মহিলা টিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিড়ালটিকে মেরে ফেলার পর, আমরা আমাদের গলুকে আনতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখছি এই অবস্থা। এলাকার মানুষজন বলছেন, তারা অত্যন্ত দুর্গন্ধ এর চোটে, বাড়ির দরজা জানলা খুলতে পারেন না। এবং তারা নিশ্চিত যে আমাদের বিড়ালটিকে, ওরাই মেরে ফেলে পেছনের বাগানে পুঁতে দিয়েছে। শুধু কি তাই, কিভাবে অনৈতিক ব্রিডিং চলে সেখানে। দুর্গন্ধের চোটে পুলিশ পর্যন্ত ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে বাধ্য হয়ে বললাম, যাদেরকে গ্রেফতার করছেন তাদেরকে ছেড়ে দেবেন না, এরা কিন্তু ক্রিমিনাল। এবং এদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। এখানেই থামলেন না অভিনেত্রী।
Abhishek Bachchan: গর্বের শেষ নেই, অভিষেক পুরস্কার পেতেই জড়িয়ে ধরে স্নেহচুম্বন জয়ার, ঐশ্বর্য কোথায়?
সেইখানে যা পরিবেশ, সেখানে মানুষ কি করে বাস করেন এটাই তিনি এখনো পর্যন্ত ভেবে উঠতে পারছেন না। সুদীপাকে বলতে শোনা গেল, গল্প ভীষণ জটিল। এখানে দুইজন বয়স্ক মানুষ থাকেন। মেয়েটির মা এবং তার পিসি। তাদের যে কি করুন পরিস্থিতি, এদেরকে বলেই ফেললাম যে কুকুরদের আগে তো আপনাদেরকে রেস্কিও করা দরকার। অভিনেত্রী তার সঙ্গে সঙ্গে ও জানালেন, সেখানে যে ৪ পেয়ে সন্তানরা রয়েছে, তাদের মালিকদের উদ্দেশ্যে বলছি, ওদেরকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে যান। আর আমিও চেষ্টা করছি, সেখান থেকে কিছু বাচ্চাকে এডপ্ট করার।
অভিনেত্রী আরও যা যা তথ্য দিলেন, তা শুনলে গা শিউরে উঠে। তিনি সেই সব অমানুষদের শাস্তি প্রার্থনা করেছেন। পাড়ার লোকের মন্তব্য অনুযায়ী, ১৫ দিন অন্তর করে একটি করে বাচ্চা মারা যেত, একটি কবরের উপর সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি বাচ্চাকে কবর দেওয়া হতো। বেসবল স্টিক দিয়ে অত্যন্ত মারধর করা হতো সেই সমস্ত চারপেয়ে অবলা প্রাণী গুলোকে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বললেন, ওখানে মাংস দিতে আসে যে ছেলেটি, তাঁকে ধরেছিলাম। বক্সটা খুলতেই, সেখানে নারী ভুঁড়ি আর মাংসের ছাট ছাড়া কিছু পেলাম না। ওদের রক্ষা করা প্রয়োজন।