Suhotra Mukhopadhay On Bhutopurbo: সাহিত্যের পাতার কাহিনি এবার রুপোলি পর্দায়। সিলভার স্ক্রিনে জীবন্ত হয়ে উঠবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ সেনের সৃষ্টি। সৌজন্যে কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত আপকামিং বাংলা ছবি ভূতপূর্ব। এক রাতের তিনটি গল্পের বুনোটে তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য। 'মণিহারা', 'তারানাথ তান্ত্রিক' এবং 'শিকার'-তিনজন কথক, আর এক অভিন্ন রহস্যের গল্প ভূতপূর্ব। ১৯৬০-এর দশকের শেষ ভাগের কাহিনি। 'মণিহারা'-য় রয়েছে ফণীভূষণ ও তাঁর স্ত্রীর করুণ পরিণতির কথা, 'তারানাথ তান্ত্রিক' -এ তুলে ধরা হয়েছে মাতু পাগলীর রহস্যময় অধ্যায় আর 'শিকার'-এ প্রতিফলিত হয়েছে পূর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের জীবনের গল্প। ভূতপূর্ব-র গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, সত্যম ভট্টাচার্য, সন্দীপ্তা সেন, সপ্তর্ষি মৌলিক, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও রূপাঞ্জনা মিত্র।
বলিউডে হরর কমেডি বা ভূতের ছবি তৈরি হলেও বাংলায় সেভাবে ভূতের গল্প দেখা যায় না। ভূতের ভবিষ্যৎ-এর পর ভূতপূর্ব-তে আরও একবার বাঙালি দর্শক বড় পর্দায় ভৌতিক গল্পের স্বাদ আস্বাদন করবে? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রশ্নের উত্তরে সৌহোত্র বলেন, 'বাংলায় সত্যিই ভূতের ছবি কম তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বাজেট একটা বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভূতের ছবি দর্শক পছন্দ করে বলে আমার বিশ্বাস। পরিচালক অনীক দত্ত কেরিয়ারের গোড়াতে হরর কমেডি মুভি ভূতের ভবিষ্যৎ বানিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তখন তিনি একপ্রকার নতুন পরিচালকই বলা চলে। সেই সময় তাঁর ছবি দেখতে হল ভরে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেটা কাল্ট ছবি হিসেবে মান্যতা পেয়েছে। বাংলা সিনেমা যতদিন থাকবে ভূতের ভবিষ্যৎ-ও ততদিন থেকে যাবে। ভাল ছবি দর্শক সবসময়ই ভালবাসে।'
আরও বলেন, 'আমাদের ছবি ভূতপূর্ব-র গল্প তো কউ আলাদাভাবে লেখেনি। সাহিত্য নির্ভর তিনটি কালজয়ী গল্প যা মানুষ বহুবার শুনেছে, পড়েছে। মণিহারা, তারানাথ তান্ত্রিকর গল্প মানুষ জানে, মনোজ সেনের শিকার বহুবার মানুষ পড়েছে। ভূতপূর্ব-তে যেটা করা হয়েছে সেটা হল অচেনা মোড়কে তিনটি গল্পকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে। যেটা আমাদের ছবির অন্যতম ইউএসপি বলাই যায়।' বড় পর্দায় ফের দর্শক ভূতুরে গল্পের স্বাদ একেবারে চেটেপুটে আস্বাদন করতে পারবে?
সুহোত্রর স্পষ্ট জবাব, 'মুক্তির আগে কোনও ছবিরই তো ভাল-মন্দ বিচার করাটা সম্ভব হয় না। দর্শক কতটা পছন্দ করবে বা করবে না সেটাও বোঝা যায় না। আমরা আমাদের সেরাটুকু দিয়েছি। এবার দেখার পালা দর্শক হলে এসে ভূতের সিনেমা কতটা এনজয় করছে। আমাদের সৎ প্রচেষ্টার ফল আশা করি ভালই হবে। দর্শকের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে হবে। ভাল গল্প দর্শকের কাছে পৌঁছে গেলে অবশ্যই হল ভর্তি হবে বল আমার বিশ্বাস।'