Bollywood Actor Who Gave flops Back to Back: অভিনেতা হওয়া নেহাতই সহজ কাজ না। অভিনেতা হতে গেলে লাগে ধৈর্য এবং অধ্যাবসায়। অভিনেতা হতে গেলে নাকি অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম। তার সঙ্গে অভিনেতা হতে গেলে নাকি ডেসটিনি এবং মানুষের ভালবাসা। অভিনেতারা একের পর এক ফ্লপ সিনেমা দিয়েও, সুপারস্টার এর জায়গাতেই থেকে যান। কিন্তু এমন একজন অভিনেতা আছেন, যিনি বলিউডের সুপার ফ্লপ কিন্তু, দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার তিনি। কথায় বলে একটা সময় তো অমিতাভ বচ্চন এবং রাজেশ খান্নার থেকেও তার পারিশ্রমিক বেশি ছিল।
বলিউডে এসেছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু একটা ছবিও হিট দিতে পারেনি। বলিউডে মাত্র তিনটি ছবি করেছিলেন। এবং তিনটে ছবিই ডাহা ফেল করে বক্স অফিস। মুম্বাই কিংবা বলিউড তাকে সুখের মুখ না দেখালেও তার ভাগ্যে লেখা ছিল সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার সুপারস্টার হয়ে ওঠা। আর সেটাই হলো। বলিউডে মুখ থুবড়ে পড়ে, তিনি সেই যে দক্ষিণে পাড়ি দিলেন, তারপরে তাকে আর মুখ ঘুরে তাকাতে হয়নি। প্রসঙ্গে মেগাস্টার চিরঞ্জীবী। যে তিনটি ছবি তিনি বলিউডে করেছিলেন সেগুলি হল, প্রতিবন্ধ, আজ কা গুন্ডারাজ এবং দ্যা জেন্টেলম্যান।
দুপুরে শেষ খাবার খেয়েই... না ফেরার দেশে জনপ্রিয় অভিনেতা
যদিও বা একথা মানা হয়, অমিতাভ বচ্চনকে ৯০ সালের দিকে ভয়ংকর কম্পিটিশন দিয়েছিলেন চিরঞ্জীবী। এবং সেই সময় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেতায় তিনি নাম লিখিয়ে নেন। অভিনয় করেছেন প্রায় ১৫০-এর বেশি সিনেমায়। তার স্টারডম দেখার মত দক্ষিণে। তার পরিবারের সকলেই প্রায় অভিনয়ের সঙ্গে। সে আল্লু অরবিন্দ হোক কিংবা পবন কল্যাণ অথবা, পরের জেনারেশনের অর্জুন, রামচরণ অথবা অন্যান্য.. গোটা পরিবারটাই যেন ফিল্মি দুনিয়ায় বাঁচেন এবং সিনেমা নিয়েই তাঁদের ওঠাবসা।
প্রসঙ্গে, চিরঞ্জীবী সাউথে পর পর ১৪টা ছবি হিট দিয়েছিলেন। এমনকি এও বলা হয়, অভিনেতার পারিশ্রমিক নাকি অমিতাভ বচ্চনের থেকেও বেশি ছিল। সেই সময় দাঁড়িয়ে, অমিতাভ ছবি প্রতি এক কোটি টাকা পেতেন। অন্যদিকে চিরঞ্জীবী পেতেন ১.২৫ কোটি টাকা। রিপোর্ট বলছে বর্তমানে তিনি প্রায় ১৬৫০ কোটি টাকার মালিক।