সুশান্ত মৃত্যু মামলায় এবার বম্বে হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করল রিপাবলিক টিভিকে। অভিনেতার মৃত্যু এবং তারপর থেকে সেই তদন্ত সংক্রান্ত খবরের সম্প্রচার নিয়ে রিপাবলিক টিভির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রিপাবলিক টিভির তদন্তমূলক সাংবাদিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। যখন মৃত্যুর তদন্ত চলছে তখন কীভাবে কোনো চ্যানেল দর্শকদের জিজ্ঞেস করতে পারে কাকে শাস্তি দেওয়া উচিত! হাইকোর্ট নিউজ ব্রডকাস্টার্স ফেডারেশনকে প্রশ্ন করেছে, "কেন এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন রিপোর্টিং এবং মিডিয়া ট্রায়ালের অপরাধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়নি?"
প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্ণির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। মিডিয়া ট্রায়ালের প্রতিবাদে আটজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার, আইনজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মামলা দায়ের করেছে। আরও বেশ কয়েকটি চ্যানেলকেও ডিভিশন বেঞ্চ মিডিয়া ট্রায়ালের বিষয়ে সতর্ক করেছে। তবে রিপাবলিক টিভির তরফে আইনজীবী মালবিকা ত্রিবেদীর দাবি, মুম্বই পুলিশকে অপমান করার যে অভিযোগ মামলাকারীরা এনেছেন তা মিথ্যা। বরং তিনি বলেছেন, "মুম্বই পুলিশের তদন্ত পদ্ধতিতে ফাঁকফোকর পেয়েছে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। মামলার তদন্তভার মৃত অভিনেতার পরিবারের তরফেই সিবিআইকে দেওয়ার দাবি ছিল।"
আরও পড়ুন কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোয় অভিযুক্ত ‘ক্য়ুইন’
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়া চক্রবর্তীকে অপরাধী সাজিয়ে গ্রেফতারের জন্য পোস্ট করে ট্রেন্ডিং করার অভিযোগ উঠছে রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে। কেন নিউজ চ্যানেল সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রচার করবে, কেন সবার মতামত চাওয়া হচ্ছে কাকে গ্রেফতার হবে জানতে, এটা কি তদন্তমূলক সাংবাদিকতা? প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট। তার উত্তরে আইনজীবীর পাল্টা দাবি, এগুলি জনমত। পাবলিক টুইটের উপর ভিত্তি করেই রিপোর্টিং হয়েছে। আদালত এটাও বলেছে, "আত্মহত্যার খবর সম্প্রচারের কিছু গাইডলাইন আছে। উত্তেজক হেডলাইন করা যাবে না। মৃতের জন্য কোনও সম্মান নেই আপনাদের? খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন