অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ( Sushant Singh Rajput ) মৃত্যুর পর থেকেই মাদক মামলা নিয়ে সরগরম বলিউড, হাজিরা দিতে হয়েছিল তারকাদের অনেককেই। ঘটনার রেশ ধরেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অভিযুক্ত ৩৫ জনের বিরুদ্ধে জানিয়েছে, যে মাদকের কারণেই এরা একে অপরের সঙ্গে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।
অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে আরও জানানো হয়, ২০১৮ সাল থেকেই সুশান্তের জন্য ড্রাগস সরবরাহ করা হয়েছিল। এবং তাতে আরও বেশি করে প্ররোচনা দিয়েছিলেন সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিথানি। অভিযুক্তদের মধ্যে তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ( Rhea Chakraborty ), রিয়ার ভাই শৌভিক এবং দুই কর্মচারী রয়েছেন যারা নিয়মিত সুশান্তকে ড্রাগস সরবরাহ করতেন। শুধু ড্রাগস নয়, এনসিবির তরফে এমনটাও দাবি করা হয় যে গাঁজাও পাঠানো হয়েছিল সুশান্তকে। রিয়া নিজেও সুশান্তকে ড্রাগস এবং গাঁজা সেবনে প্ররোচনা দিতেন। ধীরে ধীরেই অভিনেতা চরম মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। কখনও নিজে কখনও বা নিজের কর্মচারীদের মাধ্যমে মাদক / ড্রাগস তার হাতে পৌঁছাত।
আরও পড়ুন < মহাভারতে মহা-বিতর্ক! দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের জন্য FIR ‘দুর্যোধন’ পুনিত ইসারের বিরুদ্ধে >
নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক অ্যাক্টের খাতে সেই ৩৫ জনের উদ্দেশ্যে আইনের নানা ধারায় চার্জ করার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে অভিনেতার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই এই ওষুধ আনানোর কাজ করতেন সিদ্ধার্থ।
অভিযোগ উঠেছে অর্জুন রামপালের কাছের মানুষ আগিসিওলাশ এর বিরুদ্ধেও। এনসিবি জানিয়েছে, এই ব্যক্তি নাইজেরিয়া থেকে কোকেন এবং গাঁজা সংগ্রহ করেছিলেন এমনকি সেটিকে বিলিয়েছিলেন বলিউড তথা উচ্চ সমাজের কাছে। সুশান্তের মৃত্যুর পরে একে একে দীপিকা পাড়ুকোন থেকে অনন্যা পাণ্ডে এমনকি শ্রদ্ধা কাপুর থেকে নানান পরিচিত মুখকে ডেকে পাঠায় এনসিবি। আর্থিক লাভের কারণেই বেশিরভাগ এই কাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন বলেই অনুমান।