একটা মৃত্যু, আর তাতেই সাম্রাজ্যের ভিত নড়বড়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু যেন বলিউডের কাঠামোকেই ফের একবার সামনে নিয়ে এল। বহু মৃত্যু দেখেছে বি-টাউন, সয়েছে মি-টু বিতর্কও। শোকগ্রস্ত বলিউডে আজ অন্যরকম ঝড়। একটাই আর্তি 'জাস্টিস'। ।সুশান্তের মৃত্যুর পর একাধিক তর্ক,মত,বিস্ফোরক উক্তির পর ফের মৃত্যু নেপথ্যে বলিউডের কার্যকলাপকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন পরিচালক অপূর্ব আশরানি
বলিউডের এই পরিচালক জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যুর সঠিক কারণ তিনিও জানতে চান৷ আত্মহত্যা হিসেবে মানতে নারাজ তিনি৷ তাই জাস্টিস চান। এদিন টুইটারে অপূর্ব লেখেন, " সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য আমার লড়াই কোনও ব্যক্তিগত মিত্রতা বা অন্য কারুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নয়৷ আমি আজ সরব হচ্ছি কারণ আমি এটা মেলাতে পারছি আমার জীবনের সঙ্গে। সুশান্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য বলিউডে যেভাবে প্রচার চালানো হয়েছিল, আমি বুঝতে পারি ওকে কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। টুইটে বিচার পাওয়া যাবে না। তাই ব্লগেই লিখলাম।"
আরও পড়ুন, সুশান্তের মৃত্যুতে নৃশংস অভিযোগের তীর, ভেঙে পড়েছেন করণ
সুশান্ত কি মানসিকভাবে দৃঢ় ছিলেন না?
এখন আমাকে অনেকে বলছেন আমি নিজের ফায়দা তুলতে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সুশান্তের জন্য লড়াই করছি। অনেকে এও বলেছেন যে সুশান্ত মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন সেই বিষয়টিকেও ঘুরিয়ে দিতে চাইছি। এর কোনওটিই সত্যি নয়। সুশান্তকে যারা কাছ থেকে চেনেন তারা জানেন ও কেমন প্রকৃতির। মানসিকভাবে ওকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছিল। ভেবে অবাক লাগছে যারা ওকে চেনেন না তারা 'মানসিকভাবে দুর্বল' ছিল এই তকমা লাগিয়ে দিতে চাইছেন। কেন?
সুশান্তের সাফল্যকে অস্বীকার করেছিল বলিউড
সমাজে একটা ব্যাপার খুব প্রচলিত তা হল আপনি যদি ক্ষমতার সঙ্গে সহমত না হন আপনি 'ট্রাবল মেকার'। যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা গর্জে ওঠেন, আপনি 'ট্রাবল মেকার'। এটাই দেগে দেওয়া হয়৷ সুশান্তের ক্ষেত্রেও তাই৷ ওর ছবির ফিল্ম প্রমোশনে ওকেই পাত্তা দেওয়া হত না। সেটা পরিকল্পিত এবং ইচ্ছাকৃত। আসলে কারুর সাহায্য ছাড়াই সাফল্য দেখতে শুরু করেছিল কি না। দঙ্গল ছবির ডিরেক্টর যখন সুশান্তকে নিয়ে ছিছোড়ে ছবিটি করল সব জায়গায় গড়ে একই রিভিউ। বলা হল ছবিটি খুব খারাপ। সুশান্তের মৃত্যুর পর জানতে পারি, ছবিটি হিট হয়েছিল শুধু তাই নয়, ২০০কোটির ব্যবসা করেছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন